ETV Bharat / bharat

HIV Drug Shortage এইচআইভি ড্রাগ না পেয়ে রাজধানীতে বিক্ষোভ এইডস রোগীদের

author img

By

Published : Aug 13, 2022, 8:46 AM IST

এপ্রিল মাস থেকে দেশের বিভিন্ন এইচআইভি চিকিৎসা কেন্দ্রে এর প্রয়োজনীয় জরুরি ওষুধগুলি পাওয়া যাচ্ছে না ৷ এই অভিযোগে রাজধানীতে বিক্ষোভে নেমেছেন রোগীরা ৷ তবে দাবি কার্যত খারিজ করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশে যথেষ্ট পরিমাণে ওষুধ আছে (HIV Drug Shortage) ৷

AIDS Medicine Shortage in India
এইচআইভি রোগী

নয়াদিল্লি, 13 অগস্ট: দেশে পাওয়া যাচ্ছে না এইচআইভি রোগের প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যান্টিরেট্রোভইরাল ড্রাগ ৷ তাই বিগত 20 দিন ধরে 'ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন'-এর অফিসের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এইচআইভি পজিটিভ রোগীরা ৷ এদিকে সম্প্রতি লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশে 95 শতাংশ এইচআইভি রোগীর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে এআরভি মজুত আছে ৷ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কোনও ওষুধ মিলছে না ৷ এমনকী এইচআইভি আক্রান্ত বাচ্চাদের দরকারি ওষুধও নেই (People living with HIV Positive in protest by alleging shortage of drugs continues) ৷

বিক্ষোভকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওষুধগুলি না মেলে, তাহলে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করবে ৷ এক এইচআইভি আক্রান্ত প্রতিবাদকারী বলেন, "ডোলুটেগ্রাভির 50 এমজি (Dolutegravir 50 Mg) ওষুধটা ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম-এর শিরদাঁড়া এবং গত এপ্রিল মাস থেকে দেশের বেশির ভাগ এআরটি কেন্দ্রেই তা পাওয়া যাচ্ছে না ৷" এ নিয়ে স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি, নাকো, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে একাধিক চিঠি লেখা হয়েছে ৷ কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি ৷ ডিটিজি ছাড়া টিএল ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আরেক বিক্ষোভকারী জানালেন, এইচআইভি আক্রান্ত বাচ্চাদের নেভিরাপিন সিরাপও নেই বেশির ভাগ কেন্দ্রে ৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, 13 লক্ষ 88 হাজার এইচআইভি আক্রান্তের মধ্যে মাত্র 5 শতাংশ রোগী ওষুধ পাচ্ছে না, জানালেন তিনি ৷

আরও পড়ুন: 2030 সালের মধ্যে বিশ্বকে এইডস মুক্ত করার প্রস্তাব পাশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায়

স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের যুক্তি, কিছু কিছু এআরটি কেন্দ্রে সময়ে সময়ে এই সমস্যা হতে পারে ৷ তবে অন্য কেন্দ্রগুলি থেকে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ওষুধ পাঠানো হয় ৷ এক আধিকারিক জানালেন, বিশ্বে খুব কম সংখ্যক দেশে বিনামূল্যে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয় ৷ ভারত তার মধ্যে অন্যতম ৷ যেখানে 14.5 লক্ষেরও বেশি মানুষ এইচআইভি আক্রান্ত ৷ দেশের 680টি এআরটি কেন্দ্র থেকে তাদের সারা জীবন ধরে এই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এর পুরো খরচই ভারত সরকারের ৷

তিনি বলেন, "85 শতাংশেরও বেশি এইচআইভি রোগীর প্রধান ওষুধ টিএলডি ট্যাবলেট ৷ অর্থাৎ তিনটি অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ- টেনোফোভির (300 এমজি) + লামিভুডিন (300 এমজি) + ডোলুটেগ্রাভির (50 এমজি) ৷ জাতীয় স্তরে এই ড্রাগগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে ৷ তিন মাসেরও বেশি সময় জোগান দেওয়া যেতে পারে ৷" সেন্ট্রাল মেডিক্যাল সার্ভিসেস সোসাইটিকে (The Central Medical Services Society, CMSS) অনুরোধ করা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই ওষুধগুলি সরবরাহ করতে ৷

আরও পড়ুন: এইচআইচভি পজিটিভ রোগীদের দেহে দ্রুত রূপবদলে সক্ষম করোনা: গবেষণা

নয়াদিল্লি, 13 অগস্ট: দেশে পাওয়া যাচ্ছে না এইচআইভি রোগের প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যান্টিরেট্রোভইরাল ড্রাগ ৷ তাই বিগত 20 দিন ধরে 'ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন'-এর অফিসের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এইচআইভি পজিটিভ রোগীরা ৷ এদিকে সম্প্রতি লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশে 95 শতাংশ এইচআইভি রোগীর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে এআরভি মজুত আছে ৷ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কোনও ওষুধ মিলছে না ৷ এমনকী এইচআইভি আক্রান্ত বাচ্চাদের দরকারি ওষুধও নেই (People living with HIV Positive in protest by alleging shortage of drugs continues) ৷

বিক্ষোভকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওষুধগুলি না মেলে, তাহলে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করবে ৷ এক এইচআইভি আক্রান্ত প্রতিবাদকারী বলেন, "ডোলুটেগ্রাভির 50 এমজি (Dolutegravir 50 Mg) ওষুধটা ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম-এর শিরদাঁড়া এবং গত এপ্রিল মাস থেকে দেশের বেশির ভাগ এআরটি কেন্দ্রেই তা পাওয়া যাচ্ছে না ৷" এ নিয়ে স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি, নাকো, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে একাধিক চিঠি লেখা হয়েছে ৷ কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি ৷ ডিটিজি ছাড়া টিএল ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আরেক বিক্ষোভকারী জানালেন, এইচআইভি আক্রান্ত বাচ্চাদের নেভিরাপিন সিরাপও নেই বেশির ভাগ কেন্দ্রে ৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, 13 লক্ষ 88 হাজার এইচআইভি আক্রান্তের মধ্যে মাত্র 5 শতাংশ রোগী ওষুধ পাচ্ছে না, জানালেন তিনি ৷

আরও পড়ুন: 2030 সালের মধ্যে বিশ্বকে এইডস মুক্ত করার প্রস্তাব পাশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায়

স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের যুক্তি, কিছু কিছু এআরটি কেন্দ্রে সময়ে সময়ে এই সমস্যা হতে পারে ৷ তবে অন্য কেন্দ্রগুলি থেকে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ওষুধ পাঠানো হয় ৷ এক আধিকারিক জানালেন, বিশ্বে খুব কম সংখ্যক দেশে বিনামূল্যে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয় ৷ ভারত তার মধ্যে অন্যতম ৷ যেখানে 14.5 লক্ষেরও বেশি মানুষ এইচআইভি আক্রান্ত ৷ দেশের 680টি এআরটি কেন্দ্র থেকে তাদের সারা জীবন ধরে এই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এর পুরো খরচই ভারত সরকারের ৷

তিনি বলেন, "85 শতাংশেরও বেশি এইচআইভি রোগীর প্রধান ওষুধ টিএলডি ট্যাবলেট ৷ অর্থাৎ তিনটি অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ- টেনোফোভির (300 এমজি) + লামিভুডিন (300 এমজি) + ডোলুটেগ্রাভির (50 এমজি) ৷ জাতীয় স্তরে এই ড্রাগগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে ৷ তিন মাসেরও বেশি সময় জোগান দেওয়া যেতে পারে ৷" সেন্ট্রাল মেডিক্যাল সার্ভিসেস সোসাইটিকে (The Central Medical Services Society, CMSS) অনুরোধ করা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই ওষুধগুলি সরবরাহ করতে ৷

আরও পড়ুন: এইচআইচভি পজিটিভ রোগীদের দেহে দ্রুত রূপবদলে সক্ষম করোনা: গবেষণা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.