নয়াদিল্লি, 26 জুলাই : দু’দিনের বিরতির পর সোমবার ফের উত্তপ্ত হল সংসদের উভয় কক্ষ ৷ বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে দফায় দফায় মুলতুবি করতে হল অধিবেশন ৷ সোমবার দিনের শুরু থেকেই পেগাসাস (Pegasus Spyware) কাণ্ড নিয়ে সরব হন বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদরা ৷ পাশাপাশি, নয়া তিন কৃষি আইন এবং কৃষক আন্দোলন নিয়েও সরকারকে তুলোধনা করেন তাঁরা ৷ পেগাসাস নিয়ে সরকারে অবস্থান জানতে চেয়ে আলোচনার দাবিও তোলা হয় ৷ আর এসবের জেরেই চেঁচামিচি শুরু হয়ে যায় সংসদের অন্দরে ৷ যা জেরে বাধ্য হয়েউ মুলতুবি করে দিতে হয় সভার কাজ ৷ একাধিকবার এই ঘটনা ঘটার পর শেষমেশ এদিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষ ৷ ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, মঙ্গলবার (27 জুলাই, 2021) নতুন করে অধিবেশন শুরু হলেও অশান্তি থামবে না ৷ বস্তুত, গোটা বাদল অধিবেশজুড়েই পেগাসাস বিতর্ক নিয়ে সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে বিরোধীরা ৷
আরও পড়ুন : Rahul Gandhi: কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লির রাস্তায় ট্র্যাক্টর চালালেন রাহুল
তবে এসবের মধ্যেই এদিন সংসদের নিম্ন কক্ষে বেশ কয়েকটি বিল পাস করিয়ে নেয় সরকার পক্ষ ৷ যার মধ্যে অন্যতম হল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড টেকনোলজি এন্টারপ্রিনরশিপ অ্য়ান্ড ম্যানেজমেন্ট বিল, 2021 (National Institute of Food Technology Entrepreneurship and Management Bill, 2021) ৷ এই বিলের মাধ্যমে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বাড়ানো হল ৷ তালিকায় রয়েছে হরিয়ানার কুন্দলি এবং তামিনাড়ুর তানজাভুরের দু’টি প্রতিষ্ঠান ৷
এছাড়াও এদিন তুমুল হট্টগোলের মধ্যেই ফ্যাক্টরিং রেগুলেশন (সংশোধনী) বিলটি (Factoring Regulation (Amendment) Bill, 2021) লোকসভায় পাস হয়ে যায় ৷ উল্লেখ্য, গত বছরের 24 সেপ্টেম্বর এই বিলটি প্রথমবারের জন্য লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল ৷ উদ্দেশ্য ছিল, 2011 সালের কারখানা পরিচালনা আইনে (Factory Regulation Act) বেশ কিছু সংশোধন আনা ৷ যাতে কারখানা চালাতে গিয়ে মূলধন জোগানো আরও সহজ হয় ৷ সরকারের দাবি, এই সংশোধনীর জেরে কারখানা ব্যবসার পরিসর আরও বাড়বে ৷
আরও পড়ুন : adhir-chowdhury : অচল সংসদ, অলোচনা ছাড়া বিল পাস করছে কেন্দ্র, অভিযোগ অধীরের
এদিন লোকসভায় ইনসলভেন্সি অ্য়ান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড (সংশোধনী) বিল (Insolvency and Bankruptcy Code (Amendment) Bill, 2021) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) ৷ সংশ্লিষ্ট একটি অধ্যাদেশের বদলে এদিন এই বিল পেশ করেন তিনি ৷ ওই অধ্যাদেশে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য (সংস্থা দেউলিয়া হয়ে গেলে) আগাম একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ যাতে আর্থিক ক্ষতি সামলানো যায় ৷ এর জন্য আবেদনের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থাকে সর্বোচ্চ 1 লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়ার একটা বন্দোবস্ত করা হয়েছিল ৷ বিলে যা বাড়িয়ে 10 লাখ টাকা করা হয়েছে ৷