মাইসোর, 16 ডিসেম্বর: 22 বছরের ব্যবধানে বুধবার ফের হামলার আতঙ্ক ফিরেছে সংসদে। সংসদের ভিতরে তাণ্ডব চালানো দুই যুবকের একজন মনোরঞ্জন ডি। রং বোমা নিয়ে লোকসভার কক্ষে ঢুকে পড়েছিলেন সাগর এবং মনোরঞ্জন ডি। শুক্রবার সেই মনোরঞ্জনের মাইসোরের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ ৷ মনোরঞ্জনের ঘরে তল্লাশি চালানোর পরে তালা লাগিয়ে দেয়। বাবা-মা'কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তালা দেওয়া ঘর না-খোলার নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকরা ৷ পাশাপাশি মনোরঞ্জনের ব্যাংক স্টেটমেন্টও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
এদিন মনোরঞ্জন ডি-এর বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে মনোরঞ্জনের মাইসোরের বাড়িতে যান। কর্মকর্তারা মনোরঞ্জনের ঘরে তল্লাশি চালান এবং পরে তালা লাগিয়ে দেন। তদন্তকারীরা জানান, তাঁরা না-বলা পর্যন্ত ঘরের তালা খোলা যাবে না। আবারও আসবেন বলে জানিয়েছেন ।
সূত্রের আরও খবর, মনোরঞ্জনের বাবা-মা'কে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সংসদের ভিতরে হামলায় তাঁদের ছেলের সঙ্গে যে সাগর শর্মা রয়েছে সে এই বাড়িতে আগে গিয়েছিল। এদিন জানা যায়, মনোরঞ্জনের বাবা দেবরাজ ডি পেশায় কৃষক। ছেলের কর্মকাণ্ড শুনে অবাক হয়েছেন দেবরাজ। ছেলের এমন কাজের নিন্দা করার পাশাপাশি তিনি বলেন, "আমার ছেলে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। চাকরির চেষ্টাও করছিল। আমায় কৃষিকাজেও সাহায্য করত। বাকি সময় পড়াশোনা করত ৷ বছর পঁয়ত্রিশের মনোরঞ্জন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং অতীতে বেঙ্গালুরুতে একটি আইটি ফার্মে কাজ করেছেন ৷"
দেবরাজ গৌড়া আরও বলেন, "ছেলে চারদিন আগে বলেছিল বেঙ্গালুরু যাচ্ছি। মনোরঞ্জন প্রায়শই দিল্লি এবং অন্যান্য জায়গায় ভ্রমণের জন্য টাকা পেত ৷ আমি ছেলের এই কাজকে সমর্থন করি না। লোকসভা, বিধানসভা সরকারি সম্পত্তি। সেখানে এই ধরনের কাজ করাটা ঠিক নয়। বাবা হিসাবে এটা মানতে পারছি না।"
এদিকে, কোনানুর পুলিশ দেবরাজ গৌড়ার আরাকালাগুড়ের মল্লাপুর গ্রামেও গিয়েছিলেন। সেখানকার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দেবরাজ গৌড়া গ্রামে চার একর খামারবাড়ির মালিক। তিনি তাঁর সন্তানদের উন্নত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রায় 25 বছর আগে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যান। প্রতিবেশীরা আরও জানান, তাঁরা কখনও মনোরঞ্জনকে দেখেননি।
আরও পড়ুন: