শিউপুর, 24 মে: আফ্রিকা থেকে এদেশে নিয়ে আসা জোড়া চিতার মৃত্যু হয়েছে আগেই ৷ এরপর মঙ্গলবার কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হল এদেশে জন্ম নেওয়া চিতার একটি শাবকের ৷ দু'মাস আগে কুনো জাতীয় উদ্যানে জন্ম নেওয়া 4টি শাবকের মধ্যে একটির মৃত্যু হয় গতকাল ৷ তবে এখনই চিতাগুলিকে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে না ৷ কারণ, চিতাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এমনটাই জানালেন মধ্যপ্রদেশের প্রধান বন সংরক্ষক জেএস চৌহান ৷ তিনি জানান, চিতাগুলিকে স্থানান্তরিত করা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে এবং শুধুমাত্র কেন্দ্রই তা করতে পারে ৷ কুনো ন্যাশনাল পার্ক সূত্রে খবর, পার্কে চিতা শাবকের সংখ্যা চার থেকে তিনে নেমে এসেছে ।
জেএস চৌহান এএনআই-কে বলেছেন, "চিতাদের অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারই নিতে পারে ৷ এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই । কুনো ন্যাশনাল পার্কে সূত্রে খবর, জুয়ালা নামে চিতার একটি শাবকের দুর্বলতার কারণে মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি আরও বলেন, "চলতি বছর 24 মার্চ জুয়ালা চারটি শাবকের জন্ম দেয়। আমরা তাদের ক্রমাগত নজরদারি করছি । দেড় মাস পর মা জুয়ালা-সহ এই শাবকগুলিকে বের করে আনা হচ্ছিল এবং তখন থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল যে তাদের মধ্যে একটি শাবক কিছুটা দুর্বল। বাকিগুলোর তুলনায় এটা নিস্তেজই ছিল।"
মঙ্গলবার সকালে তিনি জানান, মনিটরিং টিম দেখেছে সব শাবক ও মা চিতা একই জায়গায় ছিল । তারপর তিনটি শাবক ও জ্বালা উঠে চলে গেল । একটি শাবক ওখানেই পড়়ে ছিল ৷ ওই দল সেখানে পড়ে থাকা শাবকের কাছে পৌঁছলে সেটি জীবিত ছিল । এরপরেই মনিটরিং টিম ভেটেরিনারি টিমকে ডাকে । তারা শাবকটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ভোর 5টা 10 মিনিটের মধ্যে সেটির মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি । মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জেএস চৌহান বলেন, "মৃত্যুর কারণ প্রচণ্ড দুর্বলতা। আরও একটি পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্ত করা হবে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পরে অন্য কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা জানা যাবে ।"
আরও পড়ুন: উদয়ের পর দক্ষ, ফের চিতার মৃত্যু কুনো জাতীয় উদ্যানে