নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: ভারতের প্রাচীনতম দলের সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল ৷ বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ৷ 2019 থেকে সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী ৷ প্রায় দু'দশক পর এই সভাপতি নির্বাচন হবে (Central Election Authority Chairman Madhusudan Mistry issues notification of Congress Presidential Election) ৷
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি (Chairman of the Central Election Authority Madhusudan Mistry) এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন ৷ ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সংবিধানের 18 নং ধারার (Constitution of the Indian National Congress, Article XVIII) আওতায় তিনি জানিয়েছেন, প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী দলের সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৷
বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, 24-30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৷ 1 অক্টোবর এর স্ক্রুটিনি হবে ৷ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন 8 অক্টোবর ৷ একজনের বেশি প্রার্থী থাকলে সভাপতি নির্বাচন হবে 17 অক্টোবর ৷ ভোটগণনা এবং ফলাফল ঘোষণা 19 অক্টোবর ৷
আরও পড়ুন: শশীর সঙ্গে টক্কর ! কংগ্রেস সভাপতির পদ নিশ্চিত করতেই সোনিয়ার সাক্ষাতে গেহলত ?
বিজ্ঞপ্তিতে মিস্ত্রি দলের সব সদস্যকে ভোটে অংশ নেওয়ার বার্তা দিয়ে লেখেন, "এবার, 18 নং ধারার (Article XVIII) আওতায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি (President of Indian National Congress) নির্বাচন করতে কংগ্রেসের সব সদস্যকে আহ্বান জানাচ্ছি ৷" মনোনয়নপত্র পাওয়া যাবে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতর 24 নম্বর আকবর রোডে (AICC Office, 24 Akbar Road, New Delhi) ৷
বুধবারেই জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা সোনিয়ার বিশ্বস্ত অশোক গেহলত (Chief Minister Ashok Gehlot) ৷ তাঁর বিপক্ষে থাকছেন জি-23-র সদস্য শশী থারুর (Shashi Tharoor) ৷ কংগ্রেস সভানেত্রী তাঁকেও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছায় সম্মতি দিয়েছেন ৷
আসন্ন সভাপতি নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ৷ কারণ নির্বাচিত সভাপতি সোনিয়া গান্ধির আসনে বসবেন, যিনি 1998 সাল থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সভানেত্রী রয়েছেন ৷ মাঝে 2017 এবং 2019-এ পুত্র রাহুল গান্ধি সভাপতি হয়েছিলেন ৷ 2000 সালে শেষ সভাপতি নির্বাচন হয়েছিল ৷ সোনিয়া গান্ধির কাছে পরাজিত হন জিতেন্দ্র প্রসাদ ৷ তারও আগে 1997 সালে শরদ পাওয়ার ও রাজেশ পাইলটকে (Sharad Pawar and Rajesh Pilot) হারিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন সীতারাম কেশরী (Sitaram Kesri) ৷