নয়াদিল্লি, 27 অগস্ট: তৈরি 3 হাজার 700 কেজির বিস্ফোরক ৷ রবিবার দুপুর 2টো 30 মিনিটে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণের অভিঘাতেই ধুলোয় মিশে যাবে নয়াদিল্লির টুইন-টাওয়ার ৷ রাজধানীর উপকণ্ঠে ঘটবে বিরল এক ঘটনা ৷ তারই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে (Countdown for demolition of Noida Twin Towers started) ৷ অবৈধ নির্মাণের কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আগামিকাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে অ্যাপেক্স (Apex) এবং সেয়ানে (Ceyane) ৷ সূত্রের খবর, 100 মিটার উঁচু এই টুইন টাওয়ার 9 সেকেন্ডের মধ্যেই মিশে যাবে মাটির সঙ্গে, সেইসঙ্গে গুঁড়িয়ে যাবে বহু মানুষের স্বপ্নও ৷
দায়িত্ব বর্তেছে মুমব্ইয়ের প্রসিদ্ধ এডিফাইসের (Edifice) ইঞ্জিনিয়ারদের কাঁধে ৷ শনিবার শেষ মুহূর্তে সমস্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন আধিকারিকেরা ৷ ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখার পর নয়ডা অথরিটি সিইও ঋতু মাহেশ্বরী (Ritu Maheshwari) বলেন, "ধ্বংসের কাজটি যাতে নিরাপদে হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন তা নেওয়া হয়েছে ৷ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামিকাল দুপুর 2টো 30 মিনিটে টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হবে ৷" সংলগ্ন 5,000 পরিবারকে রবিবার সকাল থেকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ তবে ধ্বংসের কাজটি এতটাই সন্তর্পণে করা হচ্ছে যে, বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশেপাশের বহুতলগুলি কোনওরকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ৷
কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু নয়ডার টুইন টাওয়ারের মধ্যে অ্যাপেক্স 32তলা বিশিষ্ট, আর সেয়ানের রয়েছে 29তল ৷ গগনচুম্বী এই অট্টালিকা মুহূর্তের মধ্যে গুঁড়িয়ে ফেলা তো আর চাট্টিখানি কথা নয় ৷ তাই গৃহীত হয়েছে বহুল সতর্কতা ৷ নিকটবর্তী নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে 2টো 15 মিনিট থেকে 2টো 45 মিনিট পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে নয়ডা শহরে ৷ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ধ্বংসকার্য চলার সময়ে আকাশপথে টুইন টাওয়ারের এক নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকায় কোনও বিমান চলাচল করবে না।
টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কারণে জন্য় যে ধুলো উৎপন্ন হবে, তার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত ৷ বিকেল 4টের পর নয়ডা অথরিটির অনুমতি পাওয়ার পরেই ঘরছাড়া পরিবারদের ঘরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে ৷ তবে পরিবারগুলিকে ঘর ছাড়ার আগে হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলিকে ধুলো থেকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলার কথা জানানো হয়েছে ৷ অর্চনা তিওয়ারি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, মাইক্রোওয়েভ-সহ সবকিছু মুড়ে ফেলেছি আমরা ৷