নয়াদিল্লি, 1 অক্টোবর: মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের তরফে যে জনসভা করার কথা ছিল তা বাতিল হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু এই সভা বাতিলের প্রভাব জোটের একসঙ্গে পথ চলার ক্ষেত্রে কোনও ফেলবে না বলেই দাবি কংগ্রেসের ৷ জোটের দলগুলির মধ্যে বর্তমানে আলোচনা যে ধীমে লয়ে চলছে তাও মানতে রাজি নয় কংগ্রেস ৷ উল্লেখ্য, গত 13 সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের কেসি ভেনুগোপাল ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, অক্টোবরে ভোপালে জোটের প্রথম জনসভা হবে ৷ তবে, মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেসের আগাম কর্মসূচি থাকার যুক্তি দেখিয়ে আপাতত এই জনসভা বাতিল করা হয়েছে ৷
জোটের আসন সমঝোতা, যৌথ প্রচার, যৌথ জনসভা বিষয়ে কী হবে, সেই প্রশ্নেও এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি 'ইন্ডিয়া'র তরফে ৷ এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সৈয়দ নাসির হুসেন ইটিভি ভারাতকে বলেন, "আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা সকলেই ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে প্রচারের কাজে ব্যস্ত ৷ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির প্রদেশ নেতারাও ব্যস্ত ৷ তার মানে এই নয় যে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা শান্ত হয়ে বসে রয়েছেন এবং যৌথ কোনও বৈঠক হবে না ৷ আসন সমঝোতা, যৌথ প্রচার পরিকল্পনা ও সোশাল মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন ৷" তাঁর কথায়, 'ইন্ডিয়া' কোনও সাংগঠনিক কেন্দ্রীভূত ঝোট নয় ৷ অধিকাংশ রাজ্যে জোটের দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে সহমত পৌঁছনো সম্ভব হবে ৷ 18-22 সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের সময়েও এই নিয়ে দলগুলির মধ্যে আলোচনা হয়েছে ৷
কংগ্রেস সূত্রে খবর, জোটের তরফে সোশাল মিডিয়ার প্রচার ও যৌথ প্রচার সূচি ঠিক করতে যে সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে তার সদস্যরা ইতিমধ্যেই দিল্লি ও মুম্বইতে বৈঠক করেছেন ৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনলাইনেও তাঁদের মধ্যে কথা চলছে ৷ আরও জানা গিয়েছে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে জোটের যৌথসভা না হলেও অন্যকোনও উপযুক্ত জায়গায় এই সভা হতে পারে ৷
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফে এআইসিসি এর এক সদস্য জানিয়েছেন, কোনও বড় জনসভার জন্য এক থেকে 2 লক্ষ লোককে নিয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে ৷ এছাড়াও যৌথ জনসভার ক্ষেত্রে নেতাদের একসঙ্গে সময় পাওয়াটাও বড় বিষয় ৷ তবে এই মাসে জোটের তরফে কোনও কর্মসূচি নেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে ৷ বৃহত্তর স্বার্থে আসন সমঝোতা কোনও বড় সমস্যা হবে না বলে দাবি কংক্রেসের এই নেতার ৷ উদাহরণ স্বরূপ কংগ্রেসের দাবি, বিহারের 40টি লোকসভা কেন্দ্রের আসন সমঝোতার বিষয়টি দেখছেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷ একইভাবে উত্তরপ্রদেশের 80টি আসনের বিষয়টি দেখছেন অখিলেশ যাদব ৷ মহারাষ্ট্রের 48টি আসন নিয়ে আলোচনা করছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেরা ৷
আরও পড়ুন: 'দুর্বলের রক্ষাই হিন্দুর ধর্ম,' দুই পাতায় হিন্দুত্ব নিয়ে 'মন কি বাত' রাহুলের
কংগ্রেস সূত্রে খবর, জোটের সদর দফতর হতে পারে দিল্লিতে ৷ সেক্ষেত্রে কংগ্রেসই সবথেকে বেশি সাহায্য করবে ৷ জোটের সভাপতি বা আহ্বায়ক বাছাই নিয়ে সমন্বয় কমিটিতেও আলোচনা চলছে ৷ এআইসিসি এর সোশাল মিডিয়া ইনচার্জ সুপ্রিয়া শ্রীনাতের মতে, কোনও জনসভা হচ্ছে না বা একসঙ্গে সব নেতা বসছেন না বলে দলগুলি নিজেদের মধ্যে কথা বলছে এই ধারণা ঠিক না ৷ ফোনে, কনফারেন্স কলে, ভিডিও মিটিংয়ে আলোচনা হচ্ছে, সবকিছু এখনই সাংবাদমাধ্যমকে জানানো হচ্ছে না, সময়মতো তা জানানো হবে ৷