নয়াদিল্লি, 29 ডিসেম্বর: জনতা দল (ইউনাইটেড) বা জেডিইউ-এর সভাপতি হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷ শুক্রবার জেডিইউ-এর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এ দিন নয়াদিল্লিতে এই বৈঠক হয় ৷ 2021 সালের মাঝামাঝি থেকে জেডিইউ-এর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন লালন সিং ৷ তিনি পদত্যাগ করার পরই নীতীশের নাম সভাপতি পদের জন্য প্রস্তাব করেন জেডিইউ-এর নেতা কেসি ত্যাগী ৷
এ দিনই নয়াদিল্লিতে বিহারের শাসক দলের ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে, সেখানে এক্সিকিউটিভ মিটিংয়ের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়বে ৷ কিন্তু তার আগে নীতীশের জেডিইউ-এর সভাপতি পদে বসা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে ৷ কেন এই রদবদল, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে আর বেশি সময় বাকি নেই ৷ তার আগে জেডিইউ-কে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে নীতীশের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারেন না ৷ কারণ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউ-এর এক নম্বর নেতা ৷ তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁকেই দলের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন অন্য সিনিয়র নেতারা ৷ নীতীশও তাঁদের দাবি মেনে নেন ৷
উল্লেখ্য, 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের হ্যাটট্রিক আটকাতে মরিয়া বিরোধীরা ৷ সেই কারণে বিরোধীরা নতুন করে জোট তৈরি করেছে ৷ সেই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ ৷ জেডিইউ সেই জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ৷ তাছাড়া এই জোটের সলতে পাকানোর কাজ নীতীশই শুরু করেন ৷ গত এপ্রিলে কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে এক করার কাজ শুরু করেন ৷
গত জুনে পটনায় বসে বিরোধীদের প্রথম বৈঠক ৷ সেই বৈঠকের আয়োজকও ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷ জেডিইউ-এর অনেকে তাঁকেই ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার দাবি তুলেছেন একাধিকবার ৷ ওই নেতাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নীতীশের ৷
আরও পড়ুন:
বিরোধীরা এক হলে লোকসভায় 50টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি, দাবি নীতীশের