নয়াদিল্লি, 9 ডিসেম্বর: কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রের 44টি জায়গায় অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) ৷ যে অভিযানে শনিবার মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রের মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে 13 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের পুলিশে সঙ্গে যৌথভাবে সন্ত্রাসবিরোধী এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷
এদিন সকাল থেকে চলা এই অভিযানে কর্ণাটকের একটি, পুনের 2টি এবং থানের গ্রামীণ এলাকার 31টি ও শহরের 9 জায়গায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে এনআইএ অফিসিয়াল সূত্রে জানান হয়েছে ৷ আইএসের মহারাষ্ট্র মডিউল মামলার তদন্ত চলাকালীন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই জায়গাগুলির ব্য়াপারে তথ্য আসে ৷ জানা গিয়েছে, আল কায়েদা ও আইএসআইএস-সহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলির ছত্রছায়ায় দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসাত্মক ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ও সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল ৷ সেই অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট 13 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা গত অগস্ট মাসে আকিফ আতেক নাচান নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল ৷ অভিযোগ আইইডি তৈরি ও তার পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত ছিল এই আকিফ ৷ এমনকি দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গোপন আশ্রয় দিয়েছিল সে ৷ এনআইএ সূত্রে খবর, বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সন্ত্রাস ছড়ানো ও তার প্রচার করা হচ্ছিল এই জায়গাগুলি থেকে ৷ যার সঙ্গে আরও অনেক জঙ্গি সংগঠন জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
আজ পুনে থেকে ধৃত 13 জন জঙ্গির বিরুদ্ধে আগেই লুক-আউট নোটিশ জারি করেছিল এনআইএ ৷ 2022 সালের এপ্রিল মাসে রাজস্থানে একটি গাড়ি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় সেই নোটিশ জারি করেছিল এনআইএ ৷ জানা গিয়েছে, ধৃতেরা ‘সুফা সন্ত্রাসবাদী দল’-এর সদস্য ৷ যারা এই মুহূর্তে আইএসআইএস-সহ অন্যান্য বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের হয়ে ভারতে তাদের জাল বিস্তারের কাজ করছিল ৷ মূলত, যুবসম্প্রদায়কে নিশানা করেছিল এই জঙ্গিরা ৷ তাঁদের ধর্মের নামে জিহাদি ভাবধারায় প্রভাবিত করে দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য করাই ছিল এদের কাজ ৷
আরও পড়ুন: