নয়াদিল্লি, 28 অক্টোবর: ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী রাজস্থান । অভিযোগ, ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় একই পরিবারের মেয়েদের নিলাম করা হয়েছে। তাও আবার রীতিমতো স্ট্যাম্প পেপারে লিখে । আপত্তি করায় তাদের মা-কে 'ধর্ষণ'ও করা হয়। আর এই বিষয়টি নাকি হয়েছে জাতি পঞ্চায়েতের নির্দেশে । কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজস্থান সরকারের থেকে রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (National Human Rights Commission) ।
কমিশনের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান হিসেবে মেয়েদের নিলাম করার ঘটনা ঘটে (Allegedly girls are being auctioned to settle financial disputes) । 8 থেকে 18 বছর বয়সী এই সমস্ত মেয়েদের নিলাম করে দেশের বিভিন্ন বড় শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কখনও কখনও তাদের বিদেশেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে মনে করে কমিশন । বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা সম্পর্কে যা প্রকাশিত হয়েছে তা কতদূর সত্য সেটাই রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে রাজস্থানের মুখ্যসচিবকে। সেখানে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, কারা কারা যুক্ত ছিল- এই সমস্ত তথ্যের পাশাপাশি কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাও জানাতে হবে (The chief secretary of Rajasthan will have to submit the report before NHRC) ।
পাশাপাশি রাজস্থান সরকার এই ধরনের পঞ্চায়েত সম্পর্কে কী ভাবছে সেটাও জানাতে হবে রিপোর্টে । মুখ্যসচিবের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও পৃথক রিপোর্ট দিয়ে তাঁরা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন সেটা বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে (Action taken report to be submitted)। রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পাশাপাশি নিজেদের প্রতিনিধি উমেশকুমার শর্মাকেও ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলতে বলেছে কমিশন। স্থানীয় সূত্রে এই ঘটনা সম্পর্কে কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই জানতে চান মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: মনের যত্ন নিতে এসে মনের আদানপ্রদান, বিয়ের পিঁড়িতে মহেন্দ্রান-দীপা
কমিশন জেনেছে এই ধরনের আরও কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে । সেসব নিয়েও খোঁজ শুরু হয়েছে । উঠে আসা অভিযোগের মধ্যে কয়েকটি সব অর্থেই ভয়াবহ । জানা গিয়েছে 15 লক্ষ টাকার ধার শোধ করতে না পেরে এক ব্যক্তিকে প্রথমে নিজের বোন পরে 12 বছরের মেয়েকে 'নিলাম' করতে হয়েছে । আরেক ব্যক্তিকে নাকি কয়েক লক্ষ টাকার জন্য নিজের মেয়েকে কয়েকজন লোকের সঁপে দিতে হয়েছে । তারা মেয়েটিকে প্রথমে আগ্রায় নিয়ে যায় । পরে আরও দু'বার তাকে 'নিলাম' করা হয় । আর এরইমধ্যে চারবার গর্ভবতী হয় মেয়েটি । এমনই ভয়াবহ অভিযোগ নিয়ে তৎপর হল কমিশন ।