জামুই, 15 ফেব্রুয়ারি: বিহারের জামুইয়ে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হল মাত্র একদিন আগে বিয়ে হওয়া এক যুবতীর দেহ । ঘটনাটি ঘটেছে গিদ্দৌর থানা এলাকার মৌরা গ্রাম । বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা কুয়োতে জল আনতে যায় ৷ তখনই তারা কুয়োতে নববধূর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান । 13 ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় ওই যুবতীর ৷ মনে করা হচ্ছে, তার পরেরদিন অর্থাৎ 14 ফেব্রুয়ারি তাঁকে খুন করা হয় ৷
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নববিবাহিত যুবতীর দেহ কুয়ো থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথমে তাঁকে মারধর করে ৷ পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাঁকে । পরে দেহ কুয়োতে ফেলে তারা পালিয়ে যায় । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷
মৃত্যুর একদিন আগে বিয়ে হয়েছিল যুবতীর: সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করে যুবতীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে । মৃতার সালমা খাতুন ৷ সে মৌরা গ্রামের মহম্মদ মনজুর আলম আনসারির মেয়ে । জানা গিয়েছে, সালমার গ্রামেরই উকিল আনসারির ছেলে সানাউল আনসারির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর । উভয়ের পরিবারের সদস্যরাও বিষয়টি জানতে পারেন ৷ এরপর সানাউল আনসারি তাঁকে বিয়ে করার পরিবর্তে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন । সালমা খাতুন তাঁর বাবার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে সানাউলকে দেন ৷ তারপর 13 ফেব্রুয়ারি আদালতে বিয়ে করেন দু'জনে ।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বরের পরিবার: যুবতীর পরিবার জানিয়েছে, বিয়ের পর তাঁর কাছে আদালতের কাগজ চাওয়া হলে সানাউল দিতে অস্বীকার করেন । কাগজপত্র চাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় । এরপরেই স্বামী সানাউল, শ্বশুর উকিল আনসারি, শাশুড়ি মুন্নি খাতুন ও তিন ভগ্নিপতি-সহ অন্যরা সালমাকে পিটিয়ে হত্যা করে দেহ কুয়োয় ফেলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ । পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্ত মৃতার শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের গ্রেফতার করেছে ৷
আরও পড়ুন: ফিরল শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ! দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবক