দিল্লি, 21 ফেব্রুয়ারি: মহারাষ্ট্র-সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে যখন ফের নতুন করে আতঙ্কের আবহ বয়ে এনেছে কোভিড 19, তখনই আরও আশঙ্কার কথা শোনালেন এইমস-এর অধিকর্তা ডা. রণদীপ গুলেরিয়া । তাঁর দাবি, ভারতে কোরোনাভাইরাসের যে নয়া স্ট্রেন নজরে এসেছে, তা আরও বেশি সংক্রামক ও মারাত্মক । দেশে হার্ড ইমিউনিটির তত্ত্ব জনশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মত তাঁর ।
গুলেরিয়ার যুক্তি, গোটা জনসংখ্যার সুরক্ষার জন্য 80 শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি থাকা প্রয়োজন । যাঁদের শরীরে ভাইরাসের অ্য়ান্ডিবডি রয়েছে, তাঁরাও কোরোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন এইমস-এর প্রধান ।
উদ্বেগ 5 রাজ্যে
ক্রমেই নামছিল দেশের কোরোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ । তবে গত কয়েকদিন আবার মারণ ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়েছে পাঁচ রাজ্যে। মহারাষ্ট্র তো আছেই, পাশাপাশি কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও পঞ্জাবে সপ্তাহখানেক ধরে সংক্রমিতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ।
টিকাকরণ
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র 3 কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্লন্টলাইন কর্মীর টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়েছে । এর পরের ধাপে 50 বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা এবং কো-মর্বিটিজ় রয়েছে এমন 27 কোটি মানুষের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন: কোরোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন
হার্ড ইমিউনিটি
হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়ে রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি টিকাকরণ বা রোগের থেকে অনাক্রমতা অর্জন করেছেন, তাঁর জন্যও ঝুঁকিসাপেক্ষ হতে পারে ভাইরাসের ভ্য়ারিয়েন্ট । অপরদিকে, মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডা. শশাঙ্ক যোশি জানিয়েছেন, ভারতে 240টিরও বেশি ভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার কারণেই নতুন করে বেড়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা ।
টিকাকরণ তাহলে কতটা কার্যকরী?
এই প্রশ্নের জবাবে ডা. গুলেরিয়া বলেছেন, টিকা কার্যকরী তবে তার কার্যকারিতা কিছুটা কম হতে পারে । যেমন টিকা নিয়ে রোগ হওয়া হয়ত আটকাতে পারবে না মানুষ, তবে তাঁরা আক্রান্ত হবেন ভাইরাসের মৃদু ভারসানে । তবে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন গুলেরিয়া ।