বারাণ (রাজস্থান), 6 নভেম্বর: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মানুষ যখন মহাকাশে বেড়াতে যাচ্ছে, ছেলে ও মেয়ের সমান অধিকারের দাবিতে সরব হচ্ছে শিক্ষিত সমাজ, তখনই সামনে এল কুসংস্কারের অন্ধকারে ডুবে থাকার এক লজ্জাজনক ঘটনা (Woman Kills Daughter)৷ বড় ছেলের প্রাণরক্ষার চেষ্টায় ছোট মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে (Mother killed daughter in Superstition)৷
রাজস্থানের বারাণ জেলার আন্তা এলাকার ঘটনা (Baran crime news)৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে । পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷
ডিএসপি তরুণ কান্ত সোমানি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মহিলা রেখা হাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর 16 বছরের বড় ছেলে নিকেন্দ্র সিংকে খুব ভালোবাসেন ৷ কিন্তু তার স্বাস্থ্য নিয়ে সবসময় চিন্তিত থাকেন তিনি । কারণ নিকেন্দ্রর হৃদযন্ত্রে একটি ফুটো রয়েছে ৷ এই নিয়ে চিন্তায় মানসিক ভাবে নাকি ভেঙে পড়েছিলেন রেখা ৷ অভিযুক্ত মহিলা জানান, তিনি স্বপ্ন দেখতেন যে, তিনি যদি কারওকে মেরে ফেলেন, তাহলেই তাঁর বড় ছেলে ভালো হয়ে যাবে ।
আরও পড়ুন: 'বালিঘাটের দখল' নিয়ে বিবাদের জেরে খুন তরুণ, ধৃত তৃণমূল নেতা-সহ 15
জানা গিয়েছে, এই স্বপ্ন দেখার পর কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত তাঁর স্বামী শিবরাজকেও ঘুমন্ত অবস্থায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু ঘুম ভেঙে যাওয়ায় কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন শিবরাজ ৷ এরপর শনিবার ওই মহিলা তাঁর 12 বছরের মেয়ে সঞ্জনা এবং 7 বছরের ছোট ছেলে সিংঘমের উপর হামলা চালান । ছোট ছেলে সিংঘম কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যায় ৷ কিন্তু মেয়ে সঞ্জনা মহিলার হাতে ধরা পড়ে যায় ৷ তখনই ওই মহিলা তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ । পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷