নাগপুর, 22 অগস্ট: গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক যাত্রী ৷ আর তার জেরেই সোমবার রাতে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করল ইন্ডিগোর বিমান ৷ মুম্বই থেকে রাঁচি যাওয়ার বিমানে এক যাত্রী রক্তবমি করতে শুরু করায় জরুরি অবতরণের প্রয়োজন পড়ে ৷ জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই যাত্রীর নাম দেবানন্দ তিওয়ারি ৷ জরুরি অবতরণের পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর ৷ গতকাল সোমবার রাতে এই পুরো ঘটনাটি ঘটে ৷
ফ্লাইট নম্বর 6E 5093 ৷ মুম্বই থেকে রাঁচিগামী ইন্ডিগোর এই বিমানেই ছিলেন 62 বছর বয়সি যাত্রী দেবানন্দ তিওয়ারি ৷ বিমানটি যাত্রা শুরু করার পরপরই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন ৷ তারপরই রক্ত বমি শুরু হয় ওই যাত্রীর ৷ রাত 8টা নাগাদ তিনি নিজেই বিমানকর্মীদের তাঁর শারীরিক জটিল অবস্থার কথা জানান ৷ তারপরই ওই যাত্রীর কথা ভেবে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় ইন্ডিগোর বিমানটিকে ৷ এরপর দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি ৷ চিকিৎসা চলাকালীন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুর 12টার দিকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা হোল্ড এলাকায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন মনোজ সুব্রামাণিয়াম ৷ এয়ারপোর্টের বোর্ডিং গেটের কাছেই মৃত্যু হয় ইন্ডিগোর নামে ওই পাইলটের ৷ পরপর দু’দিনে দ্বিতীয় পাইলটের মৃত্যু হয়েছে ৷ অন্যদিকে বিমানের জরুরি অবতরণের খবর এখন প্রায়ই শোনা যায় ৷ তবে বেশিরভাগই তা কখনও খারাপ আবহাওয়ার জেরে আবার কখনও বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ার ফলে ৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চলতি বছরের জুন মাসে দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারকে সেভকের বিমান ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণ করানো হয়েছিল ৷ আবহাওয়া দফতরের তরফে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমানতা কম থাকা জরুরি অবতরণের কারণ বলে জানানো হয় ৷ খারাপ পরিস্থিতি বুঝতে পেরে হেলিকপ্টারকে জরুরি অতরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাইলটকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ৷