বাগপত(উত্তরপ্রদেশ), 5 অগস্ট: আড়াই মাসের শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বাগপতের বারাউত এলাকার একটি গ্রামের । বৃহস্পতিবার মেয়েটিকে হত্যা করেন ওই মহিলা বলে অভিযোগ । তিনি তাঁর অপরাধ স্বীকারও করেছেন । শনিবার পুলিশ শিশুটির দেহ কবর থেকে তুলে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।
শিশুটির ঠাকুমা বলেন, "স্বাতী তাঁর নিজের সন্তানের জীবন নিয়েছেন । মাত্র 14 থেকে 15 মাস আগে অজয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয় তাঁর সঙ্গে । অজয়ের ইতিমধ্যে দুটি সন্তান রয়েছে ৷ স্বাতীর একটি কন্যা সন্তান ছিল ৷ সে যখন তাঁর নিজের মেয়েকে হত্যা করতে পারে তবে সৎ সন্তানরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে । আমরা তাঁকে জেলে পাঠাতে চাই ।"
জানা গিয়েছে, অজয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে বারাউত থানা এলাকার কোটানা গ্রামে থাকেন । স্ত্রী স্বাতী ছাড়াও পরিবারে আড়াই মাসের একটি শিশুকন্যাও ছিল । এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরাও আছেন । বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা কোনও কাজে বাইরে গিয়েছিলেন । অজয় এবং তাঁর মা অভিযোগ করেন, তাঁরা যখন ফিরে আসেন তখন মেয়েটি বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল । তড়িঘড়ি করে তাঁরা শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান । চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরে পরিবারের লোকজন শিশুটির দেহ কবর দিয়ে দেয় ।
সূত্রের খবর, পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন যে শিশুটির শরীরে হঠাৎ কোনও সমস্যা হয়েছে । এর কারণেই নিশ্চয়ই তার মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু স্বাতীর অঙ্গভঙ্গি সন্দেহজনক মনে হয়েছিল তাদের । অজয় জানান, সাধারণত যে মায়ের সন্তান মারা যায় তার ওপর দুঃখের পাহাড় ভেঙে পড়ে ৷ কিন্তু স্বাতী বিশ্বাস করতেন যে তার মেয়ের মৃত্যুতে কোনও দুঃখ নেই । এতে তাঁর সন্দেহ আরও গভীর হয় । তাঁকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করেন যে নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন । স্বাতী জানান, মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তিনি । তবে হত্যার কারণ জানা যায়নি বলে খবর ।
আরও পড়ুন: স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা, দেহের সঙ্গে 3 দিন কাটিয়ে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়র
এই ঘটনার কথা পরিবারই পুলিশকে জানায় । এরপরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করে পুলিশ । এসডিএম বরাউত সুভাষ সিং জানিয়েছেন, কোটানা গ্রামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে । অভিযোগ করেছেন মেয়েটির বাবা অজয় কুমার । এরপর শনিবার শিশুটির দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । তিনি বলেন, "ডিএম-এর নির্দেশে আমি এবং সিও দেহটি তুলে নিয়ে এসেছি ।"