ETV Bharat / bharat

FIR against Manish Sisodia: মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরে অনুমতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের - ফিড ব্যাক ইউনিট

ফিড ব্যাক ইউনিট (এফবিইউ) হস্তক্ষেপ মামলায় (Feed Back Unit (FBU) Snooping Case) মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার (FIR will be filed against Manish Sisodia) অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) ৷ ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে আম আদমি পার্টি ৷

Ministry of Home Affairs gives permission to file FIR against Manish Sisodia in FBU Snooping Case
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Feb 22, 2023, 3:38 PM IST

নয়াদিল্লি, 22 ফেব্রুয়ারি: দুর্নীতিদমন আইনের (Prevention of Corruption Act) আওতায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR will be filed against Manish Sisodia) দায়ের করার অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) ৷ ফিড ব্যাক ইউনিট (এফবিইউ) হস্তক্ষেপ মামলায় (Feed Back Unit (FBU) Snooping Case) তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক ৷ যদিও আম আদমি পার্টির বক্তব্য হল, রাজনৈতিক কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, মণীশের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চেয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনাকে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই ৷ ভিকে সাক্সেনা সেই আবেদন মঞ্জুর করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিষয়টি পাঠিয়ে দেন ৷

কী কারণে এই মামলা ?

আম আদমি পার্টি দিল্লির ক্ষমতায় আসার পর 2015 সালে তারা একটি পৃথক গুপ্তচর সংস্থা গড়ে তোলে ৷ অভিযোগ, এই সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রী, বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের অসংখ্য ব্যক্তির উপর গোপনে নজরদারি শুরু করা হয় ৷ এই সংস্থাই হল 'ফিড ব্যাক ইউনিট' বা 'এফবিইউ' ৷ যার মাথায় রয়েছেন মণীশ সিসোদিয়া স্বয়ং ৷ পাশাপাশি, যাঁরা এফবিইউয়ের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা সকলেই দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছের লোক বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের ৷ এবং এই ব্যক্তিরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করেন ৷ কিন্তু, এফবিইউয়ের গঠন নিয়ে আইন ও সাংবিধানিক নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ৷ পাশাপাশি, এফবিইউ চালাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়, তাও বেআইনিভাবে (সিক্রেট সার্ভিস ফান্ড) বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: বাজেট নিয়ে ব্যস্ত, আবগারি মামলায় হাজিরা দিতে সিবিআই-এর কাছে সময় চাইলেন মণীশ সিসোদিয়া

বিষয়টি নজরে আসার পরই এর তদন্ত শুরু করে সিবিআই ৷ সূত্রের খবর, এক আধিকারিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এফবিইউয়ের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই ৷ তাদের দাবি, এফবিইউ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সরকার এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপর নজরদারি চালিয়েছে ৷ সিবিআইয়ের দাবি, প্রাথমিকভাবে এফবিইউয়ের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে ৷ এরপর এই ঘটনায় আরও তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ভিকে সাক্সেনার দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷

আম আদমি পার্টির দাবি:

এফবিইউ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আপ নেতৃত্ব ৷ বিজেপির বক্তব্য, এফবিইউয়ের মাধ্যমে মণীশ সিসোদিয়া অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করেছেন ৷ কিন্তু, আপের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ৷ বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার ৷ তাতে বলা হয়, মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷ দিল্লি সরকারের বক্তব্য হল, "এখনও পর্যন্ত সিবিআই, ইডি এবং দিল্লি পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে 163টি মামলা রুজু করেছে ৷ কিন্তু, বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি ৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় 134টি মামলা আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে ৷ বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ৷ সমস্ত মামলাই আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷"

নয়াদিল্লি, 22 ফেব্রুয়ারি: দুর্নীতিদমন আইনের (Prevention of Corruption Act) আওতায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR will be filed against Manish Sisodia) দায়ের করার অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) ৷ ফিড ব্যাক ইউনিট (এফবিইউ) হস্তক্ষেপ মামলায় (Feed Back Unit (FBU) Snooping Case) তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক ৷ যদিও আম আদমি পার্টির বক্তব্য হল, রাজনৈতিক কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, মণীশের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চেয়ে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনাকে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই ৷ ভিকে সাক্সেনা সেই আবেদন মঞ্জুর করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিষয়টি পাঠিয়ে দেন ৷

কী কারণে এই মামলা ?

আম আদমি পার্টি দিল্লির ক্ষমতায় আসার পর 2015 সালে তারা একটি পৃথক গুপ্তচর সংস্থা গড়ে তোলে ৷ অভিযোগ, এই সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রী, বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের অসংখ্য ব্যক্তির উপর গোপনে নজরদারি শুরু করা হয় ৷ এই সংস্থাই হল 'ফিড ব্যাক ইউনিট' বা 'এফবিইউ' ৷ যার মাথায় রয়েছেন মণীশ সিসোদিয়া স্বয়ং ৷ পাশাপাশি, যাঁরা এফবিইউয়ের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা সকলেই দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছের লোক বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের ৷ এবং এই ব্যক্তিরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করেন ৷ কিন্তু, এফবিইউয়ের গঠন নিয়ে আইন ও সাংবিধানিক নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ৷ পাশাপাশি, এফবিইউ চালাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়, তাও বেআইনিভাবে (সিক্রেট সার্ভিস ফান্ড) বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: বাজেট নিয়ে ব্যস্ত, আবগারি মামলায় হাজিরা দিতে সিবিআই-এর কাছে সময় চাইলেন মণীশ সিসোদিয়া

বিষয়টি নজরে আসার পরই এর তদন্ত শুরু করে সিবিআই ৷ সূত্রের খবর, এক আধিকারিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এফবিইউয়ের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই ৷ তাদের দাবি, এফবিইউ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সরকার এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপর নজরদারি চালিয়েছে ৷ সিবিআইয়ের দাবি, প্রাথমিকভাবে এফবিইউয়ের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে ৷ এরপর এই ঘটনায় আরও তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ভিকে সাক্সেনার দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷

আম আদমি পার্টির দাবি:

এফবিইউ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আপ নেতৃত্ব ৷ বিজেপির বক্তব্য, এফবিইউয়ের মাধ্যমে মণীশ সিসোদিয়া অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করেছেন ৷ কিন্তু, আপের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ৷ বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার ৷ তাতে বলা হয়, মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷ দিল্লি সরকারের বক্তব্য হল, "এখনও পর্যন্ত সিবিআই, ইডি এবং দিল্লি পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে 163টি মামলা রুজু করেছে ৷ কিন্তু, বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি ৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় 134টি মামলা আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে ৷ বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ৷ সমস্ত মামলাই আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.