ইম্ফল, 28 মে: উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে 40 জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷ মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় রবিবার 'প্রতিশোধমূলক এবং প্রতিরক্ষামূলক' অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী ৷ আর সেই অভিযান চালাকালীন বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী নিকেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন খোদ সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেন, "এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক এবং প্রতিরক্ষামূলক অভিযান চালানো হয় ৷ এরা নিয়মিত সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে খবর ছিল ৷ এই সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় 40 জন বিভিন্ন এলাকায় নিহত হয়েছে। কয়েকজনকে নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতারও করেছে ৷"
কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই ফের হিংসা ছড়াতে শুরু করে মণিপুরে ৷ শান্তি বজায় রাখতে সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছিলেন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তারপরও অবস্থার কোনও পরিবর্তণ হয়নি ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরই বিশেষ অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী ৷ সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রায় 40 জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আধ ডজনেরও বেশি জায়গায় সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং অস্ত্রমুক্ত করতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান শুরু করে ৷ মুখ্যমন্ত্রী সিং দাবি করেছেন, সর্বশেষ সংঘর্ষ কুকি জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে হয় ৷
আরও পড়ুন: প্রয়াগরাজে জারি আতিক-আতঙ্ক, ব্যবসায়ীকে গুলি নিহত গ্যাংস্টারের সহকারীর
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ইম্ফল উপত্যকার আশপাশের বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোররাতে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, কাকচিংয়ের সুগনু, চুরাচাঁদপুরের কাংভি, ইম্ফল পশ্চিমের কাংচুপ, ইম্ফল পূর্বের সাগোলমাং, বিষেনপুরের নুঙ্গোইপোকপি, ইম্ফল পশ্চিমের খুরখুল এবং কাংপোকপিতে ওয়াইকেপিআই থেকে সংঘর্ষের খবর মিলেছে। সেই সঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেশ কিছু যায়গায় জঙ্গিরা মহিলাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় সেনার সামনে প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, মেইতি গ্রুপ এদিন কাকচিং থানা থেকে অস্ত্র লুট করে ৷ তফসিলি উপজাতি মর্যাদার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে 3 মে পার্বত্য জেলাগুলিতে 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হয় ৷ আর তারপরই মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হয়। যার জেরে 75 জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল বলে খবর ৷