নয়াদিল্লি, 14 সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরার বিজেপির 'অশাসন' নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar) ৷ বিজেপি শাসনে ত্রিপুরায় সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও দাবি করেন সিপিএমের এই বর্ষীয়ান নেতা ৷
ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে রিগিং হয়েছে। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ৯০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম। সিপিএমের বেশিরভাগ বিধায়করা তাঁদের নিজের কেন্দ্রে যেতে পারেননি ৷ এমনকি তাঁকেও নিজের কেন্দ্রেও যেতে বাধা দিয়েছে বিজেপি ৷ মঙ্গলবার সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৷
সোমবার ত্রিপুরায় তাঁদের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি ৷ ঠিক পরের দিনই রাজ্যে বিপ্লব সরকারের 'অপশাসন' নিয়ে সংবাদিক বৈঠক করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ৷ ত্রিপুরায় গত দু'শক (1998-2018) মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিকবাবু ৷
আরও পড়ুন : ইয়ে ডর হমে আচ্ছা লাগা, বিপ্লবকে কটাক্ষ অভিষেকের
মঙ্গলবার সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদককে পাশে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মানিক সরকার ৷ তিনি বলেন, "ত্রিপুরায় সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে ৷ সিপিএম বিধায়ক, এমনকি আমাকেও নিজের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ গত 42 মাসে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আমার কেন্দ্র-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেতে আমাকে অন্তত 15 বার বাধা দেওয়া হয়েছে ৷’’
মানিকবাবুর আরও অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁদের মোট 44টি পার্টি অফিসে আক্রমণ করছে। যার মধ্যে চারটি পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে 27টি পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দিয়ে তাতে আগুন লাগানো হয়েছে ৷ 12টি পার্টি অফিস লুট করা হয়েছে। এছাড়াও 13টি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে ৷ লুট করা হয়েছে 48টি বাড়ি। মোট 24 জন বাম সমর্থকের উপর হামলা চালানো হয়েছে ৷ শুধু রাজনৈতিক দলের দফতরেই নয়, আক্রমণ হয়েছে সংবাদমাধ্যমের অফিসেও।