আগরতলা, 8 মার্চ: দ্বিতীয়বারের মতো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (Tripura Chief Minister) হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সাহা (Manik Saha) । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) উপস্থিতিতে বুধবার বিবেকানন্দ মাঠে হল তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ৷ প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে দুই দিনের সফরে আসেন ৷ তারই অংশ হিসাবে মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও । রতন লাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহ রায়, সান্তনা চাকমা, সুশান্ত চৌধুরী, টিঙ্কু রায়, বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু দাস এবং সুক্লা চরণ নোয়াটিয়া উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এদিন ।
2016 সালে বিজেপিতে যোগ দেন মানিক সাহা ৷ এর আগে তিনি কংগ্রেসে ছিলেন । মানিক সাহাকে 2020 সালে ত্রিপুরার বিজেপির সভাপতি করা হয় ৷ তিনি গত বছর রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন । বিপ্লব কুমার দেবের পরিবর্তে মানিক সাহাকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ কঠোরভাবে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হন তিনি ।
এর আগে সোমবার মানিক সাহা রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্যর সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান । সমস্ত নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ সেখানে মানিককে সর্বসম্মতিক্রমে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস অংশ নেয়নি । উত্তর-পূর্ব রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে তারা বুধবারের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি বলে সূত্রের খবর । মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন অন্যান্য মন্ত্রীরাও শপথ নেন ।
কয়েক দশক ধরে ত্রিপুরা বরাবরই বামদের শক্ত ঘাঁটি ছিল । কংগ্রেস- টিইউজেএস জোট 1988 সালে ত্রিপুরায় বামদের পরাজিত করে ৷ তবে 1993 সালে আবার বামেদের হাতে চলে যায় রাজ্যের শাসনভার । 2018 সালে বামেদের সরিয়ে বিজেপি আসে ক্ষমতায় ৷ দীর্ঘ 25 বছর ক্ষমতায় থাকা বামেদের থেকে রাজ্য গেরুয়া শিবিরের দখলে আসে ৷
মানিক সাহার পুনঃনির্বাচনে প্রথমবারের মতো উত্তর-পূর্ব রাজ্যে কোনও বাম-বিরোধী সরকার ক্ষমতা ধরে রাখল । ত্রিপুরা বিজেপির প্রধান মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেছেন, "আমরা আশা করি যে বিজেপি 2.0 সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করবে ।" 16 ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন হয় ৷ গেরুয়া শিবির 60 সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় 32টি আসন পেয়েছে । বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি একটি আসনে জয়লাভ করেছে ।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলল সিপিএম