ETV Bharat / bharat

Congress Manifesto Commitment: হাতের পাঁচ বর আদতে কাঁটার মুকুট ! নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির দিকে তাকিয়ে কর্ণাটক - একক সংখ্যা গড়িষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার কর্ণাটকে

মিলিঝুলি নয়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার কর্ণাটকের মসনদে বসবেন কংগ্রেসের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই নাম এখনও কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা না-হলেও ইতিমধ্যেই সেই কুর্সির দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা কর্ণাটকবাসী ৷

Etv Bharat
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির দিকে তাকিয়ে কর্ণাটক
author img

By

Published : May 13, 2023, 10:03 PM IST

হায়দরাবাদ, 13 মে: ভোট চেয়েছিল কংগ্রেস, আর উজার করে ভোট দিয়েছে কর্ণাটকের মানুষ ৷ তবে এই দুয়ের মাঝে ছিল জনমোহিনী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ৷ আর সেই প্রতিশ্রুতিকে অনেকেই রাম রাজত্বের সঙ্গে তুলনা করতেও দু'বার ভাবছে না ৷ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছে বিজেপি ৷ মিলিঝুলি নয়, একক সংখ্যা গড়িষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার কর্ণাটকের মসনদে বসবেন কংগ্রেসের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই নাম এখনও কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা না হলেও ইতিমধ্যেই সেই কুর্সির দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা কর্ণাটকবাসী ৷ দল আশাতীত সাফল্য লাভ করলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অবশ্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে খোদ দলেরই ইস্তেহার এবং প্রতিশ্রুতি ৷ ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, যে প্রতিশ্রুতির কথা উঠে এসেছে খোদ রাহল গান্ধির গলাতেও ৷

আরও একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক ভোট প্রচারে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস ? ইস্তেহারে মোট পাঁচটি প্রধান গ্যারান্টি ছিল কংগ্রেসের ৷ যার মধ্যে মূলত ছিল বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং মাসিক ভাতার গ্যারান্টি ৷ কংগ্রেসের ইস্তেহার অনুযায়ী রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে কর্ণাটকবাসী পাবেন বিনামূল্যে 200 ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ৷ সেই সঙ্গে রয়েছে যুবনিধি শক্তি, গৃহ জ্যোতি, গৃহলক্ষ্মী স্কিম এবং অন্ন ভাগ্য স্কিম ৷ বাস্তবায়িত করার কথা বলা হয়েছিল।

কংগ্রেসের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর গৃহলক্ষ্মী স্কিমে রাজ্যের প্রতি মহিলাকে দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা ভাতা ৷ পাশাপাশি যুবনিধি প্রকল্পে ডিপ্লোমা কোর্স করা আছে এমন পড়ুয়াদের দেওয়া হবে এক হাজার 500 টাকা ৷ সেই সঙ্গে রাজ্যের সকলেই পাবেন প্রতি মাসে বিনামূল্যে 10 কিলো চাল এবং 200 ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ৷ রয়েছে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস ভ্রমণেরও প্রতিশ্রুতি ৷ এর সঙ্গেই পুরনো পেনশন স্কিম চালু, হিজাবে নিষেধাজ্ঞা নয়, লিঙ্গায়ত এবং ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি, মুসলমানদের জন্য 4 শতাংশ কোটা চালু এবং বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথাও কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিতে ছিল ৷ সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দিয়েছিলেন ষষ্ঠ গ্য়ারান্টি ৷ আরোপ তাঁর কথায়, "আমি ষষ্ঠ গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, সরকার গঠনের প্রথম দিনই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই যাবতীয় প্রতিশ্রুতিগুলি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।"

কিন্তু কংগ্রেসের এই মূল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কতটা সহজ হবে ? রাজনৈতিক মহলের দাবি, কর্ণাটকের জন্য কংগ্রেসের ইস্তেহার হল দলের অতীত অবস্থানগুলিকেই মান্যতা দেওয়া ৷ এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে আকর্ষণীয় কিছু প্রলোভন ৷ আর তাতেই মজেছে রাজ্যের মানুষ ৷ পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা 2 কোটি 70 লক্ষ সেখানে মহিলা ভোটারের সংখ্যা 2 কোটি 50 লক্ষ ৷ অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের ভোটারের সংখ্যা প্রায় 9 লক্ষ 58 হাজার ৷ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বিধানসভা ভোটে যেখানে এক কোটি 91 লক্ষ 92 হাজার অর্থাৎ 72.7 শতাংশ মহিলা ভোটার ভোট দিয়েছেন, সেখানে পুরুষ ভোটারের মধ্যে 73.68 শতাংশ ভোট দিয়েছেন ৷ বেঙ্গালুরুর মতো জায়গায়, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোট দেওয়ার সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ সুতরাং মহিলারা যে ঢেলে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে এবং তা যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির দিকে তাকিয়েই, সে কথা অতি বড় কংগ্রেস নিন্দুকও মানতে বাধ্য ৷

কিন্তু তথ্য বলছে গৃহলক্ষ্মী এবং যুব নিধি প্রকল্প মিলিয়ে প্রতিমাসে সরকারের খরচ হবে প্রায় 750 কোটি টাকা ৷ এর সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রেও ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে ৷ সেই তুলনায় রাজ্য সরকারের আয়ের পথ কি বাড়বে ? অর্থনীতিবিদদের ধারণা, সরকারের বাজেট এক রকম নির্দিষ্টই থাকে ৷ তার মধ্যে বাড়তি খরচের বোঝা চাপলে তার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সরকারকে ঋন নিতে হচ্ছে ৷ সেই ঋনের বোঝা কিন্তু আদতে রাজ্যের মানুষের ঘাড়েই চাপে ৷ রাজস্থানে 501টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে 250টি বাস্তবায়িত করা সম্বব হয়েছে বলে খোদ সে রাজ্য সরকারের দাবি ৷ অন্যদিকে ছত্তিশগড় রাজ্যেও কংগ্রেস সরকার ৷ সেখানেও 300 ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ৷ অভিযোগ, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটিই পৌঁছয়নি সে রাজ্যের অধিকাংশ গ্রামে ৷

অন্যদিকে এদিন রাতে দলীয় বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "যারা 'কংগ্রেস মুক্ত ভারত' বানাতে চেয়েছিল, দেখা গেল শেষে 'বিজেপি মুক্ত দক্ষিণ ভারত' হয়ে গিয়েছে ৷" নির্বাচনে দলের জয়কে কোনও ব্যক্তির নয়, জনগণের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, "35 বছর পর, আমরা এমন একটি জয় পেয়েছি। এটা আমাদের মনে রাখা উচিত। আমরা জিতেছি কারণ আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করেছি ৷ অন্যথায় এই জয় সম্ভব হত না ৷"

আরও পড়ুন: মানুষ ‘দুর্বল প্রশাসন’-এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, কংগ্রেসের জয়ে মন্তব্য খাড়গের

হায়দরাবাদ, 13 মে: ভোট চেয়েছিল কংগ্রেস, আর উজার করে ভোট দিয়েছে কর্ণাটকের মানুষ ৷ তবে এই দুয়ের মাঝে ছিল জনমোহিনী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ৷ আর সেই প্রতিশ্রুতিকে অনেকেই রাম রাজত্বের সঙ্গে তুলনা করতেও দু'বার ভাবছে না ৷ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছে বিজেপি ৷ মিলিঝুলি নয়, একক সংখ্যা গড়িষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার কর্ণাটকের মসনদে বসবেন কংগ্রেসের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই নাম এখনও কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা না হলেও ইতিমধ্যেই সেই কুর্সির দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা কর্ণাটকবাসী ৷ দল আশাতীত সাফল্য লাভ করলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অবশ্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে খোদ দলেরই ইস্তেহার এবং প্রতিশ্রুতি ৷ ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, যে প্রতিশ্রুতির কথা উঠে এসেছে খোদ রাহল গান্ধির গলাতেও ৷

আরও একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক ভোট প্রচারে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস ? ইস্তেহারে মোট পাঁচটি প্রধান গ্যারান্টি ছিল কংগ্রেসের ৷ যার মধ্যে মূলত ছিল বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং মাসিক ভাতার গ্যারান্টি ৷ কংগ্রেসের ইস্তেহার অনুযায়ী রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে কর্ণাটকবাসী পাবেন বিনামূল্যে 200 ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ৷ সেই সঙ্গে রয়েছে যুবনিধি শক্তি, গৃহ জ্যোতি, গৃহলক্ষ্মী স্কিম এবং অন্ন ভাগ্য স্কিম ৷ বাস্তবায়িত করার কথা বলা হয়েছিল।

কংগ্রেসের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর গৃহলক্ষ্মী স্কিমে রাজ্যের প্রতি মহিলাকে দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা ভাতা ৷ পাশাপাশি যুবনিধি প্রকল্পে ডিপ্লোমা কোর্স করা আছে এমন পড়ুয়াদের দেওয়া হবে এক হাজার 500 টাকা ৷ সেই সঙ্গে রাজ্যের সকলেই পাবেন প্রতি মাসে বিনামূল্যে 10 কিলো চাল এবং 200 ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ৷ রয়েছে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস ভ্রমণেরও প্রতিশ্রুতি ৷ এর সঙ্গেই পুরনো পেনশন স্কিম চালু, হিজাবে নিষেধাজ্ঞা নয়, লিঙ্গায়ত এবং ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি, মুসলমানদের জন্য 4 শতাংশ কোটা চালু এবং বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথাও কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিতে ছিল ৷ সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দিয়েছিলেন ষষ্ঠ গ্য়ারান্টি ৷ আরোপ তাঁর কথায়, "আমি ষষ্ঠ গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, সরকার গঠনের প্রথম দিনই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই যাবতীয় প্রতিশ্রুতিগুলি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।"

কিন্তু কংগ্রেসের এই মূল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কতটা সহজ হবে ? রাজনৈতিক মহলের দাবি, কর্ণাটকের জন্য কংগ্রেসের ইস্তেহার হল দলের অতীত অবস্থানগুলিকেই মান্যতা দেওয়া ৷ এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে আকর্ষণীয় কিছু প্রলোভন ৷ আর তাতেই মজেছে রাজ্যের মানুষ ৷ পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা 2 কোটি 70 লক্ষ সেখানে মহিলা ভোটারের সংখ্যা 2 কোটি 50 লক্ষ ৷ অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের ভোটারের সংখ্যা প্রায় 9 লক্ষ 58 হাজার ৷ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বিধানসভা ভোটে যেখানে এক কোটি 91 লক্ষ 92 হাজার অর্থাৎ 72.7 শতাংশ মহিলা ভোটার ভোট দিয়েছেন, সেখানে পুরুষ ভোটারের মধ্যে 73.68 শতাংশ ভোট দিয়েছেন ৷ বেঙ্গালুরুর মতো জায়গায়, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোট দেওয়ার সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ সুতরাং মহিলারা যে ঢেলে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে এবং তা যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির দিকে তাকিয়েই, সে কথা অতি বড় কংগ্রেস নিন্দুকও মানতে বাধ্য ৷

কিন্তু তথ্য বলছে গৃহলক্ষ্মী এবং যুব নিধি প্রকল্প মিলিয়ে প্রতিমাসে সরকারের খরচ হবে প্রায় 750 কোটি টাকা ৷ এর সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রেও ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে ৷ সেই তুলনায় রাজ্য সরকারের আয়ের পথ কি বাড়বে ? অর্থনীতিবিদদের ধারণা, সরকারের বাজেট এক রকম নির্দিষ্টই থাকে ৷ তার মধ্যে বাড়তি খরচের বোঝা চাপলে তার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সরকারকে ঋন নিতে হচ্ছে ৷ সেই ঋনের বোঝা কিন্তু আদতে রাজ্যের মানুষের ঘাড়েই চাপে ৷ রাজস্থানে 501টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে 250টি বাস্তবায়িত করা সম্বব হয়েছে বলে খোদ সে রাজ্য সরকারের দাবি ৷ অন্যদিকে ছত্তিশগড় রাজ্যেও কংগ্রেস সরকার ৷ সেখানেও 300 ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ৷ অভিযোগ, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটিই পৌঁছয়নি সে রাজ্যের অধিকাংশ গ্রামে ৷

অন্যদিকে এদিন রাতে দলীয় বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "যারা 'কংগ্রেস মুক্ত ভারত' বানাতে চেয়েছিল, দেখা গেল শেষে 'বিজেপি মুক্ত দক্ষিণ ভারত' হয়ে গিয়েছে ৷" নির্বাচনে দলের জয়কে কোনও ব্যক্তির নয়, জনগণের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, "35 বছর পর, আমরা এমন একটি জয় পেয়েছি। এটা আমাদের মনে রাখা উচিত। আমরা জিতেছি কারণ আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করেছি ৷ অন্যথায় এই জয় সম্ভব হত না ৷"

আরও পড়ুন: মানুষ ‘দুর্বল প্রশাসন’-এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, কংগ্রেসের জয়ে মন্তব্য খাড়গের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.