গান্ধিনগর, 10 জানুয়ারি: স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে তাঁদের দেহ 21 টুকরো করে লোপাট করেছিল স্টেট রিজার্ভ পুলিশের এক জওয়ান ৷ সেই ঘটনার দশ বছর পর তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment) দিল আদালত । এক কৃষক কুয়ো থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে পুলিশে খবর দেন ৷ এরপরই এক মহিলা ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয় ৷ তখন তিনি ভিলোদা থানায় (Gujarat Murder) খবর দেন । মৃত মহিলার হাতের ট্যাটু দেখে পুলিশ তাঁর ও তাঁর মেয়ের দেহ শনাক্ত করেছিল এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল ৷
আরাবল্লী দায়রা আদালত ভিলোদা তালুকের ওয়াঙ্কানের গ্রামের এসআরপি জওয়ানকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে । স্ত্রী ও 5 বছরের মেয়েকে খুন করেছে অভিযুক্ত । এরপর মৃতদেহগুলি 21 টুকরো করে একটি কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয় । ভিলোদা তালুকের ওয়াঙ্কানের গ্রামের অরবিন্দ মার্তাভাই দামোর গান্ধিনগর এসআরপিতে কর্তব্যরত ছিলেন ৷ তিনি বিবাহিত হয়েও হাসুমতীর প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করেন ৷ অরবিন্দের প্রথম স্ত্রীর ছেলের বিয়ে হচ্ছিল ৷ হাসুমতী সেই বিয়েতে যাওয়ার জন্য জোরজার করেছিলেন । তার জেরেই হাসুমতীর সঙ্গে ঝগড়া বাঁধে অরবিন্দর ৷ তখন এসআরপি জওয়ান হাসুমতী ও তাঁর 5 বছরের মেয়েকে তাঁর সরকারি কোয়ার্টারে হত্যা করে । এরপর মৃতদেহগুলিকে 21 টুকরো করে গ্রামে নিয়ে যায় সে ।
আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিট হস্তগত করতে সৎ ছেলেকে বিষ খাইয়ে হত্যা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মহিলার
অন্য একজনের সহায়তায় দেহাংশগুলি একটি কুয়োয় ফেলে দেয় অরবিন্দ । রামনগরের বাসিন্দা এক কৃষক কুয়ো থেকে দুর্গন্ধ আসতে দেখে ভিলোদা পুলিশকে খবর দেন । সেই কুয়োতেই এক মহিলা ও এক শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায় । পুলিশ মৃতের স্বামী অরবিন্দ এবং তাঁকে সাহায্যকারীকে গ্রেফতার করে ৷ দশ বছর ধরে শুনানি চলার পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত ৷ মৃতদেহটি এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে, তা শনাক্ত করা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে । অবশেষে হাতের ট্যাটু দেখে মৃত হাসুমতীকে শনাক্ত করা হয় ।