মুম্বই, 23 ফেব্রুয়ারি: বন্ধুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ৷ আর সেই সুযোগ নিয়েই তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন বছর 33 -এর এক ব্যক্তি ৷ যার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে নাবালিকা ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্তকে 10 বছরের কারাদণ্ড দিল বিশেষ আদালত (10 Years Imprisonment for Minor Girl Rape)৷ 21 ফেব্রুয়ারি বিচারক জয়শ্রী আর পুলেট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পকসো (POCSO Protection of Children from Sexual Offences Act) আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷
এই বিষয়ে আদালত জানিয়েছে, নাবালিকাকে ক্রমাগত ধর্ষণের উপযুক্ত সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে ৷ সেখান থেকেই প্রমাণিত হয় অভিযুক্ত দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়েছে নাবালিকার উপর ৷ তার জেরেই গর্ভবতী পড়ে সে (Minor Girl Getting Pregnant for Rape)৷
নির্যাতিতার মা মুম্বই শহরতলির ঘাটকোপার থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ৷ তিনি জানান, তাঁদের তিনতলা বাড়ির উপরের তলায় ভাড়া থাকত অভিযুক্ত ৷ 8 জুলাই 2017 সালে নাবালিকা পেটে ব্যথার কথা জানালে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে সে সাড়ে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা ৷
এরপর পরিবার তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে নাবালিকা সব খুলে বলে ৷ জানায়, 2017 সালের মার্চ মাসে যখন কেউ বাড়িতে ছিল না-তখন তাকে ধর্ষণ করা হয় বারবার ৷ এক সপ্তাহ ধরে চলে এই পাশবিক অত্যাচার ৷ এই ঘটনার কথা কাউকে জানাতে বারণ করে অভিযুক্ত ৷ এমনকী হুমকিও দেওয়া হয় ৷ এরপর মেয়েটির গর্ভপাত করার পাশাপাশি তার গর্ভস্থ ভ্রুণটিকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ৷ সেই রিপোর্টে দেখা যায় অভিযুক্তই নাবালিকার গর্ভস্থ সন্তানের বাবা ৷ এরপরই পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে ৷ আদালতে মামলা ওঠে ৷ প্রায় সাতবছর পর অভিযুক্তকে 10 বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত ৷
আরও পড়ুন : নাবালককে ধর্ষণ, 20 বছরের সাজা ঘোষণা কার্শিয়াং পকসো আদালতের