নয়াদিল্লি, 9 নভেম্বর: এথিক্স কমিটি তাঁকে বহিস্কার করতে পারে। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে এমন খবর সম্প্রচারিত হওয়াকে ঘিরে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর দাবি, আদানি গোষ্ঠি পরিচালিত একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে মহুয়ার সাংসদ পদ বরখাস্ত করার সুপারিশ করতে চলেছে কমিটি। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার আগে এমন ঘটনা কী করে ঘটতে পারে তা জানতে চেয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখলেন মহুয়া। সাংসদের দাবি, এভাবে রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়া লোকসভার রীতি নীতির বিরুদ্ধে। সাংসদ যখন লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখছেন তখনই তাঁর পাশে দাঁড়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, মহুয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে নগদ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির থেকে অর্থ-সহ অন্য উপহার নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। পাশাপাশি আদানিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সঙ্গে সুকৌশলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও যুক্ত করেছেন তিনি। মহুয়ার প্রাক্তন প্রেমিক জয় দ্রেহদ্রাইয়ের থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে এথিক্স কমিটির দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহুয়াকে ডেকে পাঠায় কমিটি। বৈঠক ঘিরে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়। মহুয়া-সহ বৈঠকে থাকা বিরোধী সাংসদদের দাবি, কৃষ্ণনগরের সাংসদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। মহুয়ার কাছে বিষয়টি ছিল 'মৈখিক বস্ত্রহরণ'-এর মতে। এরপর এদিন এথিক্স কমিটির বৈঠকে মহুয়া সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ার কথা । সেই বৈঠক হওয়ার আগেই বহিস্কারের সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসায় ক্ষোভ উগড়ে দেন মহুয়া।
স্পিকারকে লেখা চিঠিতে মহুয়ার দাবি, "এই ঘটনা লোকসভার নিয়মকানুনের বিরোধী। আমি আগেও এই সংক্রান্ত অভিযোগ করেছি। আপনি (স্পিকার) তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা করেননি। সেটাও দুর্ভাগ্যজনক।" পাশাপাশি যে আদানিদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ তাদের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম কী করে এই তথ্য পেল সেই প্রশ্নও তুলেছেন মহুয়া।
আরও পড়ুন: আজ এথিক্স কমিটির বৈঠকে খসড়া রিপোর্ট পেশ ! মহুয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের ইঙ্গিত