নয়াদিল্লি, 8 ডিসেম্বর: এথিক্স কমিটির রিপোর্টেই শেষ পর্যন্ত সিলমোহর দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ । আর শুক্রবার ধ্বনি ভোটে সাংসদ পদ খারিজের পরই লোকসভার বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র । একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, কার্যত নারীবিদ্বেষী মনোভাব দেখিয়েছে মোদি সরকার । তিনি বলেন, "আমার বিরুদ্ধে টাকা এবং উপহার নেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই । কালকেই বাড়িতে সিবিআই যাবে । আগামী ছ'মাস আমাকে হেনস্তা করা হবে । আদানিকে বাঁচাতে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে মোদি সরকার ।"
এদিন সংসদের ভিতরে এবং বাইরেও মহুয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে বিরোধী জোটের সাংসদদের । এমনকী মহুয়ার হয়ে সংসদের বাইরে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন খোদ কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি । এদিন লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "কেউ আইনের উপরে নয় । যা হয়েছে সংসদে তা সংবিধানকে অমান্য করা হয়েছে । অসাংবিধানিক কাজ করা হয়েছে । সংবিধানের উপরে সংসদ নয় । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও অমান্য করা হয়েছে । মহুয়াকে বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি । আত্মপক্ষ সমর্থন করতে না-দিয়ে সেই বিচার ন্য়ায়সঙ্গত নয় ।"
এদিন লোকসভার বাইরে মহাত্মা গান্ধির মূর্তির পাদদেশে বিরোধীরা একজোট হয়ে মহুয়া মৈত্রকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় । যেখানে সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, টি আর বালু, দানিশ আলি, অধীর চৌধুরী-সহ বিরোধী জোটের নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন । তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে, এদিন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে এবং প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে করা হয়েছে।" অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পর লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মহুয়া মৈত্রকে ন্যায়বিচার দেওয়া হয়নি । যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকেই সংসদে বলতে দেওয়া হয়নি।"
আরও পড়ুন