মাদুরাই, 31 জুলাই: মেয়েটি তাঁর 'রূপান্তরিত পুরুষ' সঙ্গীকে নিয়ে থাকতেই পারেন, রায় দিল আদালত ৷ দুই পরিবারের সদস্য মহিলা ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীর (যিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হয়েছেন) মধ্যে সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি ৷ তাঁদের দু'জনকেই জোর করে আলাদা করে দিয়েছিল ৷ এরপর ভিরধুনগরের বাসিন্দা ওই 'ট্রান্সম্যান' মাদুরাই হাইকোর্টে তাঁর মহিলা সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে চেয়ে আবেদন জানান ৷ শুক্রবার সেই মামলায় নজিরবিহীন রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ (Madras HC allows woman to live with her transman companion) ৷
এই আবেদনে রূপান্তরিত পুরষ সঙ্গী জানান, "ডিন্ডিগুল জেলার একটি মেয়েকে আমি ভালোবাসি ৷ বছর কয়েক ধরে আমরা একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছি ৷ 7 জুলাই আমরা বিয়ে করি ৷ কিন্তু মেয়েটির পরিবার এতে বাধা দেয় ৷ 16 জুলাই তারা আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমাদের উপর অত্যাচার করে এবং মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় ৷" এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কিছু করেনি ৷
আরও পড়ুন: মায়ের দ্বিতীয় সংসারে সন্তানের পদবি নিয়ে টানাটানি ! যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
ট্রান্সম্যান আরও জানান, মেয়েটির মনের পরিবর্তন করতে তাঁর পরিবার শক ট্রিটমেন্ট দেওয়ার কথাও জানিয়েছিল ৷ এর ফলে তাঁর শারীরিক ক্ষতিও হতে পারত ৷ তাঁদের দু'জনের ব্যতিক্রমী সম্পর্ক গ্রহণ করতে রাজি ছিল না মেয়েটির পরিবার ৷ তিনি লেখেন, "আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মেয়েটির ভাই তার উপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালায় ৷ এমনকী আমাকে হুমকিও দিয়েছে ৷"
শুক্রবার, 29 জুলাই বিচারপতি পি এন প্রকাশ এবং বিচারপতি আর হেমলতা এই মামলাটি শুনে বলেন, "মামলাকারীর মেয়ে বন্ধুর বয়স 21 বছর ৷ তিনি তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে চান ৷ তাই মেয়েটির ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁকে বাঁচতে দেওয়া হোক ৷"