কানপুর, 9 জানুয়ারি: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এমসিএ ছাত্রের উপর বর্বরতা ! অভিযোগ, তাঁকে প্রস্রাব পান করানো হয়েছে ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ চটি চাটতে বাধ্য করা হয়েছে ৷ মুখে থুথু ছেটানো হয়েছে এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ ৷ আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, এখানে রক্ষকই ভক্ষক ৷ লোকাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা এলআইইউ-এর ইন্সপেক্টর ধর্মেন্দ্র যাদবের ছেলে হিমাংশু ওরফে সানি যাদব ওই ছাত্রের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ৷
শুধু তিনি নন ৷ এলআইইউ ইন্সপেক্টরও ওই যুবককে মারধর করেন বলে অভিযোগ । তাঁকে গাড়িতে বসিয়ে মারধর করা হয় ও ওই অবস্থাতেই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয় ৷ গুলিও চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷ তবে বুলেট ভাগ্যক্রমে তাঁর কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় ৷ একজন পুলিশকর্মী ও তাঁর ছেলের এই নিষ্ঠুরতার কাহিনি শুনে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছেন ৷
এমসিএ ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে এলআইইউ ইন্সপেক্টর ধর্মেন্দ্র যাদব-সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন কল্যাণপুর থানার ইনচার্জ । অভিযুক্তদের একজনের নাম নন্দু । আর মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ এলআইইউ ইন্সপেক্টরের ছেলে সানি যাদব এখনও পলাতক । পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে । এসিপি কল্যাণপুর অভিষেক পাণ্ডে তিনজন অভিযুক্তের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
কল্যাণপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এমসিএ ছাত্র পুলিশকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে ইন্সটাগ্রামে দিব্যাংশী পাণ্ডে নামে এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়েছিল । সোমবার তাঁকে প্যারেড দুধ বাংলোর পিছনের গলিতে ডেকেছিলেন এমসিএ ছাত্র । তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বাইকে চড়ে ওই যুবতীর সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি । অভিযোগ, এলআইইউ ইন্সপেক্টর ধর্মেন্দ্র যাদবের ছেলে হিমাংশু ওরফে সানি তাঁর সহযোগী শুভম সোনকার, নন্দু দুবে, ঋষভ চৌহান, রজত, মোহিত, আয়ুষ মিশ্র এবং আরও দু'জনতে নিয়ে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন ।
ছাত্রের অভিযোগ, "তারা জোর করে আমাকে এবং আমার বন্ধুকে গাড়িতে বসিয়ে মারধর শুরু করে । এরপর হত্যার উদ্দেশে কোপরগঞ্জ রেলওয়ে ট্র্যাকে নিয়ে গিয়ে সেখানে গুলি চালায় তারা । কানের পাশ দিয়ে গুলি চলে যায় ।" এই ঘটনার পর তিনি জানেন না যে তাঁর বন্ধু কোথায় । ওই ছাত্র আরও জানান যে, তিনি একটি সাধারণ পরিবারের সদস্য এবং তাঁর বাবা একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন ।
অভিযুক্ত সানি যাদব কল্যাণপুর থানা এলাকায় সবাইকে বলতে থাকেন, তাঁর বাবা পুলিশে আছেন, কেউ তাঁকে কিছু করতে পারবে না । কয়েক মাস আগেও সানি যাদবের ছেলেদের মারধরের ঘটনা কল্যাণপুর থানায় পৌঁছেছিল । তবে বাবা ছেলের হয়ে সাফাই দিয়ে সেই মামলা চাপা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ । স্থানীয় লোকজন আরও জানান, সানি ও তাঁর বাবা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ক্রমাগত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচার চালান ।
আরও পড়ুন: