নাগপুর, 1 সেপ্টেম্বর: 10 বছর বয়সি এক নাবালিকা মেয়েকে তাদের বাড়িতে তালা দিয়ে বেঙ্গালুরু গিয়েছিল এক দম্পতি। আট দিন ধরে মেয়েটি তালাবন্দি অবস্থাতেই ছিল ৷ বৃহস্পতিবার নাগপুরে এই মর্মান্তিক খবর প্রকাশ্যে আসার পর নাগপুর বিমানবন্দর থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হুদকেশ্বর পুলিশ। অভিযুক্তের নাম তাহা আরমান ইশতিয়াক আহমেদ খান। অভিযুক্তের স্ত্রী হিনা ও শ্যালক আজহার নরুউদ্দিন শেখকে অবশ্য এখনও পুলিশ ধরতে পাড়েনি।
এই মামলার অভিযুক্ত ত্বহা আরমান ইশতিয়াক আহমেদ খানের শ্যালক আজহার নরুউদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী মেয়ে। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রায় আট দিন আগে অভিযুক্ত তাহা আরমান ইশতিয়াক আহমেদ খান পরিবার-সহ বেঙ্গালুরুতে যান। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তারা কাজের জন্য নিয়ে আসা নাবালিকা মেয়েটিকে একটি ঘরের তালা দিয়ে রাখে বলে অভিযোগ। এদিকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না-করায় গত 30 অগস্ট বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই ছোট ঘরের তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল প্রায় সাতদিন। কিন্তু বিদ্যুৎ কেটে গেলে অন্ধকারে ভয় পেয়ে বাথরুমের জানালা ভেঙে বাইরে বের হয় সে। এরপর কয়েকঘণ্টা বাড়ির বাইরে বসে থাকায় আশপাশের কিছু লোকের সন্দেহ হয়। মেয়েটিকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই অমানবিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: লখনউতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে গুলিবিদ্ধ যুবক, আটক চার
নির্যাতিতা যখন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা এরপর স্থানীয়দের জানায় ৷ এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ অভিযোগ, অভিযুক্তরা সকলেই ওই নাবালিকাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা সিগারেট এবং লোহার জিনিস দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়িয়ে দিয়েছে। অভিযুক্তরা প্রতিদিন মেয়েটিকে বাথরুমেই আটকে রাখত বলেও জানা গিয়েছে। মেয়েটি এতদিন অবশ্য সব অত্যাচার সহ্য করছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়েটি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিনাকে বিয়ে করার পর নাগপুরে নিয়ে এসেছিলেন। গতকাল নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বিজয়কান্ত সাগর জানিয়েছেন, হুদাকেশ্বর পুলিশ গতকাল ভুক্তভোগী মেয়ের ঘটনার কথা শুনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে।