ETV Bharat / bharat

Kozhikode Businessman Killed: কোঝিকোড়ে ব্যবসায়ীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

কেরলের কোঝিকোড়ের এক হোটেল ব্যবসায়ীকে খুনের পর দেহ টুকরো করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ এই ঘটনায় তিনজনকে ধরেছে পুলিশ ৷ খুনের কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ ৷

Kozhikode Businessman Killed
Kozhikode Businessman Killed
author img

By

Published : May 26, 2023, 12:52 PM IST

কোঝিকোড়, 26 মে: প্রথমে খুন ৷ তার পর দেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে ভরা হয় ৷ পরে তা ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে ৷

কেরলের মালাপ্পুরম জেলার তিরুরের বাসিন্দা সিদ্দিক খুনের ঘটনার তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশের দাবি ৷ এই ঘটনায় দুই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁরা আপাতত তামিলনাড়ু পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ৷ কেরল পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ৷ কেরল পুলিশের দাবি, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলেই খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে ৷ হয়তো আরও কোনও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যেতে পারে ৷

পুলিশ জানিয়েছে, বছর আটান্নর সিদ্দিক তিরুরের বাসিন্দা ৷ কোঝিকোড় জেলার ওলাভান্নাতে তিনি একটি হোটেল চালান ৷ সেই কারণে সাধারণত তিনি বাড়ির বাইরে বেশি সময় কাটান ৷ গত 18 মে তিনি বাড়ি থেকে হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন ৷ প্রাথমিকভাবে পরিবারের সন্দেহ হয়নি ৷ কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকে ৷ তার উপর সিদ্দিকের এটিএম কার্ড থেকে টাকা তোলার মেসেজ যায় ছেলের কাছে ৷ তখন তাঁরা হোটেলে খোঁজ নেন ৷ সেখানেও না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কেরলের এরঞ্জিপালমের একটি হোটেলে দু’টি রুম বুক করেছিলেন সিদ্দিক ৷ তখন পুলিশ ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে ৷ হোটেলের ঘরে সিদ্দিককে প্রবেশ করতে দেখা গেলেও সেখান থেকে বের হওয়ার কোনও ফুটেজ সিসিটিভিতে মেলেনি ৷ তবে সিদ্দিকের পর ওই ঘরে দু’জন তরুণী প্রবেশ করেন ৷ পরে তাঁদের একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় ৷ তবে তাঁরা পরদিন অর্থাৎ 19 মে দুপুর তিনটে নাগাদ হোটেলের ঘর থেকে বের হন ৷

ওই দুই তরুণীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ ৷ বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ওই দুই তরুণীর নাম শিবিলি ও ফারহানা ৷ বছর আঠারোর ফারহানা শিবিলির বন্ধু ৷ বছর বাইশের শিবিলি সিদ্দিকের হোটেলের প্রাক্তন কর্মী ৷ তিনি দিন পনেরো সেখানে কাজ করেছিলেন ৷ কিন্তু খারাপ ব্যবহার সংক্রান্ত কারণে তাঁকে কাজ হারাতে হয় ৷ জিজ্ঞাসাবাদে আরও একজনের নাম উঠে আসে ৷ তাঁর নাম আশিক৷ তিনি পালাক্কাদের বাসিন্দা ৷ তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেয় ৷ ইতিমধ্যে তদন্ত আরও এগোলে ওই ট্রলিব্যাগের খোঁজ পাওয়া যায় পালাক্কাদ জেলার আট্টপ্পাডি পাসের কাছে একটি জঙ্গলে ৷ সেখানে ওই ব্যাগের মধ্যে সিদ্দিকের দেহের টুকরোগুলি পাওয়া যায় ৷

পুলিশ জানিয়েছেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে খুনের ধরন সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে ৷ এদিকে ওই দুই তরুণীকে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে আরপিএফ আটক করে ৷ পরে তাঁদের তামিলনাড়ু পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এবার কেরল পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ৷

এবার পুলিশের খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ দু’টো বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ৷ এক, শিবিলি যেহেতু সিদ্দিকির হোটেলে কাজ করতেন ৷ 15 দিনের মাথায় তাঁর কাজ চলে যায় ৷ তাই এর মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকলেও থাকতে পারে ৷ এছাড়া মধুচক্রের বিষয়টি দ্বিতীয় কারণ হিসেবে সামনে রেখে এই খুনের তদন্তের সমাধান করার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

পাশাপাশি পুলিশের তরফে একাধিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ সেগুলি হল - সিদ্দিক কেন এরঞ্জিপালমে রুম নিলেন ? দু’টি রুম বুক করলেন কেন ? সিদ্দিকের অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা লাখ লাখ টাকা কোথায় গেল ? পুলিশের ধারণা, ধৃতদের জেরা করলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ৷

আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে জমি বব্যসায়ী-সহ দু’জনকে কুপিয়ে খুন দুষ্কৃতীদের, তদন্তে সিট

কোঝিকোড়, 26 মে: প্রথমে খুন ৷ তার পর দেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে ভরা হয় ৷ পরে তা ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে ৷

কেরলের মালাপ্পুরম জেলার তিরুরের বাসিন্দা সিদ্দিক খুনের ঘটনার তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশের দাবি ৷ এই ঘটনায় দুই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁরা আপাতত তামিলনাড়ু পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ৷ কেরল পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ৷ কেরল পুলিশের দাবি, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলেই খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে ৷ হয়তো আরও কোনও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যেতে পারে ৷

পুলিশ জানিয়েছে, বছর আটান্নর সিদ্দিক তিরুরের বাসিন্দা ৷ কোঝিকোড় জেলার ওলাভান্নাতে তিনি একটি হোটেল চালান ৷ সেই কারণে সাধারণত তিনি বাড়ির বাইরে বেশি সময় কাটান ৷ গত 18 মে তিনি বাড়ি থেকে হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন ৷ প্রাথমিকভাবে পরিবারের সন্দেহ হয়নি ৷ কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকে ৷ তার উপর সিদ্দিকের এটিএম কার্ড থেকে টাকা তোলার মেসেজ যায় ছেলের কাছে ৷ তখন তাঁরা হোটেলে খোঁজ নেন ৷ সেখানেও না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কেরলের এরঞ্জিপালমের একটি হোটেলে দু’টি রুম বুক করেছিলেন সিদ্দিক ৷ তখন পুলিশ ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে ৷ হোটেলের ঘরে সিদ্দিককে প্রবেশ করতে দেখা গেলেও সেখান থেকে বের হওয়ার কোনও ফুটেজ সিসিটিভিতে মেলেনি ৷ তবে সিদ্দিকের পর ওই ঘরে দু’জন তরুণী প্রবেশ করেন ৷ পরে তাঁদের একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় ৷ তবে তাঁরা পরদিন অর্থাৎ 19 মে দুপুর তিনটে নাগাদ হোটেলের ঘর থেকে বের হন ৷

ওই দুই তরুণীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ ৷ বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ওই দুই তরুণীর নাম শিবিলি ও ফারহানা ৷ বছর আঠারোর ফারহানা শিবিলির বন্ধু ৷ বছর বাইশের শিবিলি সিদ্দিকের হোটেলের প্রাক্তন কর্মী ৷ তিনি দিন পনেরো সেখানে কাজ করেছিলেন ৷ কিন্তু খারাপ ব্যবহার সংক্রান্ত কারণে তাঁকে কাজ হারাতে হয় ৷ জিজ্ঞাসাবাদে আরও একজনের নাম উঠে আসে ৷ তাঁর নাম আশিক৷ তিনি পালাক্কাদের বাসিন্দা ৷ তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেয় ৷ ইতিমধ্যে তদন্ত আরও এগোলে ওই ট্রলিব্যাগের খোঁজ পাওয়া যায় পালাক্কাদ জেলার আট্টপ্পাডি পাসের কাছে একটি জঙ্গলে ৷ সেখানে ওই ব্যাগের মধ্যে সিদ্দিকের দেহের টুকরোগুলি পাওয়া যায় ৷

পুলিশ জানিয়েছেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে খুনের ধরন সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে ৷ এদিকে ওই দুই তরুণীকে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে আরপিএফ আটক করে ৷ পরে তাঁদের তামিলনাড়ু পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এবার কেরল পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ৷

এবার পুলিশের খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ দু’টো বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ৷ এক, শিবিলি যেহেতু সিদ্দিকির হোটেলে কাজ করতেন ৷ 15 দিনের মাথায় তাঁর কাজ চলে যায় ৷ তাই এর মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকলেও থাকতে পারে ৷ এছাড়া মধুচক্রের বিষয়টি দ্বিতীয় কারণ হিসেবে সামনে রেখে এই খুনের তদন্তের সমাধান করার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

পাশাপাশি পুলিশের তরফে একাধিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ সেগুলি হল - সিদ্দিক কেন এরঞ্জিপালমে রুম নিলেন ? দু’টি রুম বুক করলেন কেন ? সিদ্দিকের অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা লাখ লাখ টাকা কোথায় গেল ? পুলিশের ধারণা, ধৃতদের জেরা করলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ৷

আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে জমি বব্যসায়ী-সহ দু’জনকে কুপিয়ে খুন দুষ্কৃতীদের, তদন্তে সিট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.