কলকাতা, 17 অক্টোবর: আজ কংগ্রেসে মহারণ । 24 বছর বাদে গান্ধি পরিবারের সদস্য নন এমন কাউকে সভাপতি হিসেবে বেছে নেবে 137 বছরের দল । নির্বাচনে মুখোমুখি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং শশী থারুর । রাজনৈতিক মহলে নির্বাচন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে । দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট (Read some important points about Congress President Election) ।
1) নির্বাচন শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে খাড়গে শিবিরকে ঘুরপথে নিশানা করেছেন থারুর । তাঁর দাবি, সোনিয়া গান্ধি নাকি খাড়গেকেই সভাপতি দেখতে চান একথা বলে তাঁর অনুগামীরা সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন ।
2) দলের নেতা-কর্মীদের হৃদয়ের ডাকে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শশী বলেন,"যাই হোক দিনের শেষে যেন কংগ্রেসের জয় হয়।"
3) পালটা খাড়গে শিবির থেকেও আক্রমণ ধেয়ে এসেছে থারুরের দিকে । খাড়গের হয়ে প্রচার করা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, "থারুর কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলেছেন । কোনও কিছু মৃত্যু না হলে তাকে পুনরুজ্জীবিত করা যায় না । আসল থারুরের হিন্দিতে দুর্বলতা আছে বলেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। "
4) শশীর প্রতি খাড়গে অবশ্য খানিকটা নরম অবস্থান নিয়েছেন । তিনি বলেন, "এটা আমাদের দল বা বলা ভালো পরিবারের বিষয় । উনি যা মনে করেন সেটা বলার অধিকার ওঁর আছে ।"
5) নির্বাচনে দু'জন প্রার্থী । ব্যালটে খাড়গের ক্রমসংখ্যা 1, থারুরের 2 । কোনও ভোটার যাঁকে ভোট দিতে চান তাঁকে সেই মতো সংখ্যা বেছে নিতে হবে । এখানে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলে দাবি করে থারুর শিবির । এরপর নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা দলীয় কমিটি জানায়, পছন্দের প্রার্থীর পাশে টিক দিয়ে নিজেদের মত জানাতে পারবেন ভোটাররা ।
6) কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান নীতি নির্ধারক কমিটি এআইসিসি-র সম্পাদক (সংগঠন) ভামসিচাঁদ রেড্ডি ইটিভি ভারতকে বলেন,"নির্বাচনকে ঘিরে দলে একটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে । দুই প্রার্থী ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই প্রচার করেছেন । এমন গণতান্ত্রিক নির্বাচন শুধু কংগ্রেসেই সম্ভব । যিনিই জিতুন না কেন আমরা একজন নতুন নেতা পাব । রাহুল গান্ধির পাশে দাঁড়িয়ে তিনি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন ।'
7) ফল যাই হোক না কেন 24 বছর বাদে অ-গান্ধি সভাপতি পেতে চলেছে কংগ্রেস । 22 বছর আগে শেষ সাংগঠনিক নির্বাচনে জিতিন প্রসাদকে বড় ব্যবধানে হারান সোনিয়া ।
8) নির্বাচনে না থাকলেও কংগ্রেসের রাশ গান্ধির হাতেই থাকবে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল । গান্ধিদেরকে সঙ্গে নিয়েই নতুন সভাপতিকে দল পরিচালনার কাজ করতে হবে ।
9) রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেলহত এই সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রাথমিক প্রক্রিয়ায় অনেকটা এগিয়ে ছিলেন । পরে তাঁকে সরে যেতে হয় । লড়াই থেকে সরে যান মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগবিজয় সিংও।
10) ভোট শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে দলীয় কর্মীদের আরও একবার বার্তা দেন শশী থারুর । সেখানে তিনি বলেন, "নীতি-আদর্শকে ঠিক রেখে দলে কয়েকটি পরিবর্তন করার সময় এসেছে। আমাদের সবাইকে সেটাই করতে হবে ।"