মালাপ্পুরম(কেরল), 18 ডিসেম্বর: কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধে ব্যানার-পোস্টারকে ঘিরে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পোস্টার টাঙাল এসএফআই ৷ পুলিশ এসে পোস্টারগুলিকে টেনে নামিয়ে দেয় ৷ পরে আবার সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন পোস্টারগুলি লাগিয়ে দেয় ৷ সোমাবার সকালে এই ধরনের আরও পোস্টার লাগানোর হুমকি দিয়েছে এসএফআইয়ের সদস্যরা ।
রবিবার কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউসের বাইরে এসএফআই ব্যানার-পোস্টার লাগায় ৷ তাতে তারা রাজ্যপালকে 'সংঘী' বলে অভিহিত করে এবং তাঁকে ফিরে যাওয়ার দাবি জানায় ৷ এতে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ৷ তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নির্দেশে রাজ্য পুলিশ ব্যানারগুলি লাগিয়েছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে রাজ্যপালকে রাজভবনে তাঁর সচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ব্যানার সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করে ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে একটি নোটিস পাঠাতে ফোনে তিনি তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে । পাশাপাশি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশে স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (এসএফআই)তরফে চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে ব্যানার লাগানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ সে সম্পর্কে ভিসির কাছ থেকে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে তিনি জানান ।
কয়েক ঘণ্টা পরে রাজভবন একটি বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকে রাজ্যপালের মানহানিকর পোস্টারগুলির জন্য দোষারোপ করেছে ৷ কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল ব্যানারগুলি না সরানোর জন্য পুলিশকে তিরস্কার করেন ৷ ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল পুলিশকে লক্ষ্য করে চিৎকার করে বলেন,"এটা (ব্যানার) এখানে কীভাবে এল? আমি আপনাকে (পুলিশ) জিজ্ঞেস করছি যদি মুখ্যমন্ত্রী এখানে থাকতেন, আপনি কি এটা করতে দিতেন? আপনি আমাকে অপমান করতে চান? যথেষ্ট হয়েছে । আপনি আইনশৃঙ্খলাকে উপহাস করার চেষ্টা করছেন ৷
তিনি আরও বলেন, "এখন না হলে 3-4 মাসের মধ্যে জবাব দিতে হবে । এই মুখ্যমন্ত্রী চিরকাল থাকবেন না । ভাববেন না যে আপনি জবাবদিহির বাইরে চলে যাবেন । এমন ধারণার মধ্যে থাকবেন না । আপনি জবাবদিহির বাইরে যাবেন না ৷" তিনি অবিলম্বে গেস্ট হাউস ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেন এবং সেখানে তাঁর গাড়ি আনার কথা জানান । রাজ্যপাল বলেন, "আমি এখান থেকে চলে যাব এবং কোন পুলিশ আমার সঙ্গে যাবে না ৷"
আরও পড়ুন: