বেঙ্গালুরু, 20 মে: দ্বিতীয় বারের জন্য কর্ণাটকের মসনদে বসলেন সিদ্দারামাইয়া ৷ উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শপথ নিলেন ডিকে শিবকুমার ৷ শনিবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গেই এদিন শপথ নিলেন আরও আটজন বিধায়ক ৷ আর সিদ্দারামাইয়ার এই শপথ গ্রহণ অনুষ্টানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঁদের হাট বসেছিল ৷ হাজির ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি-সহ কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও ৷ কর্ণাটকে ক্ষমতায় এলেও রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, শপথ গ্রহণে যে বিরোধী ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে চেয়েছিল কংগ্রেস, তা কি আদৌ বাস্তবায়িত হল ?
কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসার পরই কংগ্রেসের কার্যত লক্ষ্য ছিল দেশের সামনে বিরোধী ঐক্যের ছবিকে তুলে ধরা ৷ 24-এর লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল ম্যাচে পদ্ম শিবিরকে দক্ষিণ ভারত থেকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে কংগ্রেস ৷ আর এরপরই একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি অবিজেপি কিন্তু কংগ্রেস সমমনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছেও শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে যায় ৷ আমন্ত্রণ গিয়েছিল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের কাছেও ৷ যদিও সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন না সকলে ৷ সিদ্দারামাইয়ার শপথে যেমন একদিকে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, তেমনই মুদ্রার অপর দিকে দেখা গেল না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ওড়িসার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কদের মতো নেতা-নেত্রীদের ৷
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধি শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশ্য এদিন শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে ৷ শুক্রবারই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম বীরাপ্পা মইলি জানিয়েছিলেন, কর্ণাটকে নতুন কংগ্রেস সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্য তুলে ধরার আদর্শ মঞ্চ হতে পারে ৷ কিন্তু রাজনৈতিক মহলের দাবি, শেষ পর্যন্ত তা হল না ৷ কারণ বিরোধী শিবিরের সব বড় মুখকে দেখা গেল না সিদ্দারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ৷ সূত্রের খবর, সিদ্দারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে আমন্ত্রণ পত্রই পৌঁছয়নি ৷ এদিন তাঁদের দেখাও গেল না অনুষ্ঠানে ৷ আবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকার জন্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি ৷ তবে তৃণমূলের তরফে প্রতিনিধি হিসাবে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে পাঠিয়েছেন মমতা ৷ এ ছাড়াও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ৷ আমন্ত্রণ পাননি বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীও ৷ ফলে আদৌ সিদ্দারামাইয়ার শপথে কার্যকর হল না বিরোধী জোটের ছবি, এমনটাই মত ওয়াকিবহল মহলের ৷
আরও পড়ুন: ঘৃণাকে হারিয়ে ভালোবাসা জেতায় কর্ণাটকে পাঁচ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে কংগ্রেস, আশ্বাস রাহুলের