হায়দরাবাদ, 14 মে: কর্ণাটকে হেরে দ্রাবিড়ভূম থেকে সমূলে উৎপাটিত ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধির 10দিন যাবৎ 'ভারত জোড়ো যাত্রা' নাকি বর্তমান সভাপতি তথা অশীতিপর মল্লিকার্জুন খাড়্গের স্ট্র্যাটেজি - কন্নড়বাসীর 'হাত ধরা'র নেপথ্য কারণ যাইহোক না কেন, বিজেপি'কে কর্ণাটক পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করেছে সেটাই সবচেয়ে বড় সত্য ৷ দক্ষিণের রাজ্যে কংগ্রেসের বিপুল জয় এবং সেইসঙ্গে দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে চুপ থাকতে পারলেন না রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল ৷ জয়ের পরদিন টুইটে প্রাক্তন দলের কাছে আবেদন করলেন, আগামী পাঁচ বছরে কর্ণাটকের মানুষের মন জিততে ৷
'অপারেশন লোটাস', ধর্ম এবং জাতপাতের রাজনীতি-সহ একাধিক হাওয়া সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি'র পরাজয়ের কারণ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে ৷ তাই এইসব বিষয়গুলোর অবসান ঘটিয়ে পাঁচ বছরে মন কন্নড়বাসীর মন জিতে নিক কংগ্রেস, এমনটাই চাইছেন সিব্বল ৷ রবিবার সকালে একটি টুইটে সিব্বল লেখেন, "কর্ণাটকে নির্বাচনে জেতা কঠিন, কিন্তু মানুষের হৃদয় জয় করা আরও কঠিন কাজ ৷ তাই আগামী পাঁচ বছরে বৈষম্য দূরে সরিয়ে, আরও কাছে গিয়ে, আরও উদার হয়ে মানুষের মন জিতে নিতে হবে ৷" সেইসঙ্গে সিব্বলের সংযোজন এগুলির মধ্যে একটিও বিজেপি'র মধ্যে ছিল না ৷
একবছর আগে দলত্যাগ করা কংগ্রেস প্রাক্তনী শনিবার নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পরও তাঁর মতামত জানিয়েছিলেন ৷ সিব্বল সেখানে লিখেছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী হেরেছেন ৷ কর্ণাটকের মানুষ জিতে গিয়েছে ৷ নো টু: 40 শতাংশ, কেরালা স্টোরি, বিভাজনের রাজনীতি, ঔদ্ধত্য, মিথ্যা ৷ কংগ্রেসের জয় প্রাপ্য ছিল ৷"
আরও পড়ুন: 43 শতাংশ ভোট পেয়ে ইতিহাস কংগ্রেসের, ইস্তফা দিলেন বাসবরাজ
উল্লেখ্য, ইউপিএ 1 এবং ইউপিএ 2 সরকারের আমলে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানো কপিল সিব্বল 2022 মে মাসে কংগ্রেস ছাড়েন ৷ পরবর্তীতে সমাজবাদী পার্টির সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-23 গোষ্ঠীর এই নেতা ৷