নয়াদিল্লি, 11 ডিসেম্বর: বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Bombay High Court CJ) দীপঙ্কর দত্তকে (Justice Dipankar Datta) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ৷ রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার (Supreme Court judge)৷
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু টুইটে লিখেছেন, "ভারতের সংবিধানের অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে ।"
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম 26 সেপ্টেম্বর সরকারের কাছে এই পদের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন ৷ বিচারপতি দত্ত শপথ নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হবে 28 ৷ যেখানে 34 জন বিচারপতির জন্য অনুমোদন রয়েছে ৷
1965 সালের 9 ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন দীপঙ্কর দত্ত ৷ তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সলিলকুমার দত্তের ছেলে । তিনি 1989 সালের নভেম্বরে আইনজীবী হিসাবে নথিভুক্ত হন এবং 2002 সালের মে মাস থেকে থেকে 2004 সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন জুনিয়র স্থায়ী কৌঁসুলি হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন । দীপঙ্কর দত্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলি হিসেবেও কাজ করেছেন ।
আরও পড়ুন: 'বিচারকদের মধ্যে ভয় কাজ করে...'! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দেশের প্রধান বিচারপতির
2006 সালের জুন মাসে স্থায়ী বিচারক হিসাবে কলকাতা হাইকোর্টের বেঞ্চে উন্নীত হন দীপঙ্কর দত্ত । 2020 সালের এপ্রিল মাসে তিনি বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন । কলেজিয়ামের সুপারিশগুলি নিয়ে দ্রুত কাজ না করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট । তারই প্রেক্ষাপটে রবিবার দীপঙ্কর দত্তের পদোন্নতি সম্পর্কে ঘোষণাটি করা হল ৷
গত 11 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে বিচারপতি নিয়োগে বিলম্বের ব্যাখ্যা চেয়ে কেন্দ্রীয় আইনসচিবকে একটি নোটিশ দেয় ৷ শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম দ্বারা প্রদত্ত 11টি নাম অনুমোদন না করায় কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের বিরুদ্ধে গত বছর অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশন বেঙ্গালুরুর দায়ের করা অবমাননার আবেদনের শুনানির সময় বিলম্বের জন্য কেন্দ্রকে টেনে নিয়েছিল বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউলের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ । বিচারকরা উল্লেখ করেন যে, কলেজিয়াম বারবার জানালেও সরকার বিভিন্ন সময়ে বিচার বিভাগীয় নিয়োগ করেনি ।