ETV Bharat / bharat

John Barla : জন বার্লাকে রাষ্ট্রীয় মন্ত্রী করে কি বঙ্গভঙ্গের ভাবনাকেই সমর্থন মোদি সরকারের ?

কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে বুধবার শপথ নিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা ৷ ক’দিন আগে বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন জন ৷ সেই সময় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির তরফে জানানো হয়, বঙ্গভঙ্গের ভাবনাকে বিজেপি সমর্থন করে না ৷ অথচ যিনি এই জিগির তুললেন তাঁকেই দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে ঠাঁই দেওয়া হল ৷ তবে কি বঙ্গভঙ্গে প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির ? উঠছে প্রশ্ন ৷

John Barla, Who Raised Voice for partition of Bengal, became minister of state in Modi cabinet
John Barla : জন বারলাকে রাষ্ট্রীয় মন্ত্রী করে কি বঙ্গভঙ্গের ভাবনাকেই সমর্থন মোদি সরকারের ?
author img

By

Published : Jul 7, 2021, 10:26 PM IST

নয়াদিল্লি, 7 জুলাই : বঙ্গভঙ্গের জিগির তুলে খবরের শিরোনামে এলেন যে সাংসদ, তাঁকেই কিনা রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ? তাহলে কি বাংলা ভাগে প্রচ্ছন্ন সায় রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীরও ? মদত রয়েছে তাঁর দল বিজেপিরও ? জন বার্লার (John Barla) মন্ত্রিপদ লাভে উঠছে এমনই সব প্রশ্ন ৷

বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 213 টি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দেয় বিজেপি ৷ একের পর এক আসনে ফোটে পদ্ম ৷ আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা ৷ সম্প্রতি বঙ্গভঙ্গের জিগির তুলে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি ৷

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য়ের স্বীকৃতির দাবিতে ফের সরব জন বারলা

জন বার্লার দাবি ছিল, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করা হোক ৷ অথবা পশ্চিমবঙ্গের এই অংশটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক ৷ বার্লার দাবি, মানুষের স্বার্থেই একথা বলেছেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার উত্তরবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারছে না ৷ ফলে বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ বেআইনিভাবে এ রাজ্য়ে ঢুকে পড়ছে ৷ এই ভিনদেশিরা উত্তরবঙ্গের মানুষের নিরাপত্তা ও রুজি বিঘ্নিত করছে ৷ আর সেই কারণেই তিনি পৃথক রাজ্য গড়ে উত্তরবঙ্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন বলে দাবি জনের ৷

স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংসদের এমন মন্তব্যে চড়েছে রাজনীতির পারদ ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে ফের একবার বাংলাকে ভাগ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানা মহলে ৷ এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে প্রাথমিকভাবে মাঠে নামেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ তিনি জানান, জন যা বলেছেন, সেটা একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ৷ দল এমন কিছু সমর্থন করে না ৷

কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপির একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধির গলায় শোনা যায় অন্য সুর ৷ জন বার্লার মতোই তাঁরাও পৃথক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবিতে সরব হন ৷ কেউ কেউ আবার মানুষের আবেগের দোহাই দিয়ে পৃথক রাজ্য়ের দাবিকে প্রচ্ছন্নভাবে সমর্থন করেন ৷ যাঁদের মধ্যে অন্যতম নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথও বুধবার কেন্দ্রের নয়া রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন : গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধা পাচ্ছে না রাজ্যবাসী, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সাংসদের

তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, উত্তরবঙ্গ বিজেপিকে ভরিয়ে দিয়েছে ৷ তাই তাকেও পাল্টা উপহার দিতেই হত ৷ আর সেই কারণেই উত্তরের দু’জন প্রতিনিধিকে কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে ৷ কিন্তু জন বার্লা ছাড়া মোদি সরকারের কাছে অন্য কোনও বিকল্প কি ছিল না ? নাকি বঙ্গভঙ্গের ইস্যুকে আরও জোরদার করার বার্তা দিতেই জনকে বেছে নেওয়া হল ? তাহলে তৃণমূল যে অভিযোগ তুলছে, তা কি সত্যি ?

তৃণমূলের দাবি, বাংলার ক্ষমতা দখল করতে না পেরে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি ৷ যেকোনও উপায়ে বাংলাকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে তারা ৷ রাষ্ট্রপতি শাসনের জুজুও দেখানো হচ্ছে এই কারণেই ৷ এক্ষেত্রে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) অতিসক্রিয়তাকেও প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরেছে বাংলার শাসকশিবির ৷ জন বার্লার মন্ত্রিত্ব লাভ সেই জল্পনাকেই আরও উস্কে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷ প্রসঙ্গত, এর আগে আলিপুরদুয়ারের কোনও সাংসদ কেন্দ্রে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাননি ৷

নয়াদিল্লি, 7 জুলাই : বঙ্গভঙ্গের জিগির তুলে খবরের শিরোনামে এলেন যে সাংসদ, তাঁকেই কিনা রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ? তাহলে কি বাংলা ভাগে প্রচ্ছন্ন সায় রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীরও ? মদত রয়েছে তাঁর দল বিজেপিরও ? জন বার্লার (John Barla) মন্ত্রিপদ লাভে উঠছে এমনই সব প্রশ্ন ৷

বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 213 টি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দেয় বিজেপি ৷ একের পর এক আসনে ফোটে পদ্ম ৷ আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা ৷ সম্প্রতি বঙ্গভঙ্গের জিগির তুলে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি ৷

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য়ের স্বীকৃতির দাবিতে ফের সরব জন বারলা

জন বার্লার দাবি ছিল, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করা হোক ৷ অথবা পশ্চিমবঙ্গের এই অংশটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক ৷ বার্লার দাবি, মানুষের স্বার্থেই একথা বলেছেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার উত্তরবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারছে না ৷ ফলে বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ বেআইনিভাবে এ রাজ্য়ে ঢুকে পড়ছে ৷ এই ভিনদেশিরা উত্তরবঙ্গের মানুষের নিরাপত্তা ও রুজি বিঘ্নিত করছে ৷ আর সেই কারণেই তিনি পৃথক রাজ্য গড়ে উত্তরবঙ্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন বলে দাবি জনের ৷

স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংসদের এমন মন্তব্যে চড়েছে রাজনীতির পারদ ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে ফের একবার বাংলাকে ভাগ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানা মহলে ৷ এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে প্রাথমিকভাবে মাঠে নামেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ তিনি জানান, জন যা বলেছেন, সেটা একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ৷ দল এমন কিছু সমর্থন করে না ৷

কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপির একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধির গলায় শোনা যায় অন্য সুর ৷ জন বার্লার মতোই তাঁরাও পৃথক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবিতে সরব হন ৷ কেউ কেউ আবার মানুষের আবেগের দোহাই দিয়ে পৃথক রাজ্য়ের দাবিকে প্রচ্ছন্নভাবে সমর্থন করেন ৷ যাঁদের মধ্যে অন্যতম নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথও বুধবার কেন্দ্রের নয়া রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন : গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধা পাচ্ছে না রাজ্যবাসী, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সাংসদের

তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, উত্তরবঙ্গ বিজেপিকে ভরিয়ে দিয়েছে ৷ তাই তাকেও পাল্টা উপহার দিতেই হত ৷ আর সেই কারণেই উত্তরের দু’জন প্রতিনিধিকে কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে ৷ কিন্তু জন বার্লা ছাড়া মোদি সরকারের কাছে অন্য কোনও বিকল্প কি ছিল না ? নাকি বঙ্গভঙ্গের ইস্যুকে আরও জোরদার করার বার্তা দিতেই জনকে বেছে নেওয়া হল ? তাহলে তৃণমূল যে অভিযোগ তুলছে, তা কি সত্যি ?

তৃণমূলের দাবি, বাংলার ক্ষমতা দখল করতে না পেরে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি ৷ যেকোনও উপায়ে বাংলাকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে তারা ৷ রাষ্ট্রপতি শাসনের জুজুও দেখানো হচ্ছে এই কারণেই ৷ এক্ষেত্রে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) অতিসক্রিয়তাকেও প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরেছে বাংলার শাসকশিবির ৷ জন বার্লার মন্ত্রিত্ব লাভ সেই জল্পনাকেই আরও উস্কে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷ প্রসঙ্গত, এর আগে আলিপুরদুয়ারের কোনও সাংসদ কেন্দ্রে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাননি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.