জুতো আবিষ্কারের আগের কথা না, তবুও খোলামেলা প্রকৃতির ভারতের এই গ্রামে সবাই খালি পায়ে ! বিষয়টা নতুন না ৷ বরং বহু দিনের ৷ তবে খালি পায়ে থাকার কারণ হিসেবে তাদের নিজস্ব যুক্তি আছে ৷
রাজ্যের নাম তামিলনাড়ু, গ্রামের নাম ভিলাগাবি ৷ জঙ্গল ঘেরা গ্রাম ৷ 100 পরিবারের বসবাস ৷ ভিলাগাবির খুব কাছেই কোদাইকানাল ৷ সেখানকার পর্যটকদের ভিড়ের কথা জানা কথা ৷ জঙ্গল ঘেরা গ্রাম ভিলগাবির সৌন্দর্য্যের কথা কিন্তু জানেই না পর্যটকরা ৷ শেষে খালি পা-ই জনপ্রিয় করে তুলতে শুরু করেছে অজানা অচেনা গ্রামটিকে ! একটা আস্ত গ্রামের সকলেই খালি পায়ে থাকেন শুনে কৌতূহলে গ্রামে হাজির হচ্ছেন বহু মানুষ ৷ তবে ভিলগাবি যাব বললেই তো যাওয়া যায় না ৷ রীতিমতো ট্রেক করে পৌঁছাতে হয় ৷ অন্যদিকে ট্রেকারদের জন্য জায়গাটা একেবারে স্বর্গ ৷ কষ্ট করে ভিলগাবিতে পৌঁছাতে পারলে খালি পা ছাড়াও আরেক কাণ্ড দেখ চমকায় মানুষ ৷ তা হল ছোট্ট গ্রাম ভরতি অসংখ্য মন্দির ৷ এমনকী গৃহস্থ বাড়ির চেয়ে মন্দিরের সংখ্যা বেশি ৷ তাহলে খালি পা কেন ? কবে থেকে ?
300 বছরের পুরোনো এই গ্রামের বাসিন্দারা যুগের পর যুগ ধরে খালি পায়ে চালফেরা করে আসছেন ৷ গ্রামের ঢোকার মুখেই রয়েছে সাইনবোর্ড ৷ সেখানে লেখা, "অনুগ্রহ করে পায়ের জুতোটি খুলুন" ৷ আসলে গ্রামে কিছুদূর অন্তর মন্দির থাকায় গ্রামের মানুষ জুতো পরাই ছেড়ে দিয়েছেন ৷ গ্রামবাসীদের কথায়, দৈহিক আরামের চেয়ে ঈশ্বরের প্রতি সম্মান দেখানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ আদতেই আরামের কথা ভাবতে পারে না ভিলাগাবি ৷ কেন ?
কারণ উন্নয়নের আলো নেই ! নেই রাস্তা, হাসপাতাল কিংবা স্কুল ৷ একটি চায়ের দোকান আর একটি মুদি দোকানেই শেষ হয়ে যায় গ্রামের বাজার ৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ছুটতে হয় কোদাইকানাল ৷ অবশ্যই খালি পায়ে, কঠিন রাস্তা ডিঙিয়ে ৷