চেন্নাই, (তামিলনাড়ু), 25 জুন : জন্মগত যকৃতের সমস্যা নিয়ে জন্মেছিল শিশু আরিয়ান ৷ এক মাসের মাথায় ধরা পড়ল সমস্যা ৷ দ্রুত যকৃত প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হল চেন্নাইয়ের রেল হাসপাতালে ৷ কিন্তু আরিয়ানকে কে দেবে যকৃৎ ? আর 2019-এ 42 দিনের শিশুর জন্য এই প্রতিস্থাপন ভারতে বিরল ৷
আরিয়ানের মায়ের পক্ষে সম্ভব ছিল না, বাবার শারীরিক পরিস্থিতিও ছেলেকে যকৃৎ দেওয়ার অনুপযুক্ত ৷ তাই আরিয়ানকে বাঁচাতে তার মামাই যকৃৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ সেদিন রেলা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর মহামেদ রেলা আর ডাঃ নরেশ শানুগম দেশে সবচেয়ে কম বয়সী আরিয়ানের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন ৷ আজ তার জন্মদিন, 2 বছর পার করে দিল ছোট্ট আরিয়ান ৷
আরও পড়ুন : Corona in India : কিছুটা কমল দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ল মৃত্যু
সেই দিন প্রসঙ্গে তাঁর মা সায়নি বলেন, "আরিয়ানকে সব সময় অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হচ্ছিল ৷ মুম্বইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল ৷ কী ভাবে এয়ারপোর্টে পৌঁছাব বুঝতে পারছিলাম না ৷ অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে আরিয়ানকে নিয়ে চেন্নাইয়ের রেলা হাসপাতালে তাড়াতাড়ি পৌঁছানোটা খুব কঠিন ছিল ৷" তবে সব বাধা কাটিয়ে ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাড়ি ফিরে আসে আরিয়ান ৷ হাসপাতাল থেকে তার খাওয়াদাওয়া, স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ৷
আর সেই দুজন চিকিৎসক ? আজ তাঁরা জানালেন, এক মাস বয়সে আরিয়ান তাঁদের কাছে এসেছিল ৷ মানুষের যকৃতে যে এনজাইম অ্যামোনিয়াকে ইউরিয়াতে পরিণত করে, তা ছিল না তার যকৃতে ৷ এর একমাত্র সমাধান যকৃৎ প্রতিস্থাপন ৷ অনেক চিকিৎসকের মধ্যে একটা সাধারণ ধারণা আছে যে, এত ছোট শিশুর যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা যায় না ৷ তখন ওর ওজন ছিল মাত্র 3 কেজি, তাও যকৃৎ প্রতিস্থাপন সফল হয়েছিল ৷ ডাঃ রেলা আশাবাদী আরিয়ান আর দশজনের মতোই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকবে ৷