নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: আরব সাগরে সোমালিয়াগামী জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা ! সেখানে হাজির হয়ে পালটা লড়াই শুরু করল ভারতীয় নৌসেনাও। শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে নৌবাহিনীর তরফে। ভারতীয় নৌবাহিনী শনিবার জানিয়েছে, আরব সাগরে অজানা আক্রমণকারী, সম্ভবত সোমালি জলদস্যুরা হামলা চালিয়েছে ৷
ভারতীয় নৌবাহিনী তার বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস পোর্টালে মাল্টার এমভি রুয়েনের একটি বার্তা মেলে ৷ সেখান থেকেই জানা যায়, ছয় অজ্ঞাত পরিচয় (সম্ভবত দুষ্কৃতী) জাহাজ হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে ৷ এই খবর পাওয়া মাত্রই নজরদারি বিমান এলাকা ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি জলদস্যুদের রুখতে প্রস্তুত বাহিনীও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
নৌবাহিনী তৎক্ষণাৎ জাহাজটিকে সনাক্ত করতে এবং সাহায্য করার জন্য টহলরত যুদ্ধজাহাজ এবং সামুদ্রিক বিমান বাহিনী পাঠানো হয় ৷ বিমান বাহিনী শুক্রবার প্রথম দিকে হাইজ্যাক করা জাহাজটিকে ওভারফ্লো করে এবং তারপর থেকে ক্রমাগত জাহাজটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে ৷ ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সোমালিয়ার উপকূলের দিকে যাচ্ছিল জাহাজটি ৷
বুলগেরিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজের ক্রুরা অ্যাঙ্গোলা, বুলগেরিয়া এবং মায়ানমারের নাগরিক ছিল ৷ বুলগেরিয়ার বিদেশমন্ত্রী মারিয়া গ্যাব্রিয়েল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, "সব বিদেশী অংশীদার এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷ আমরাও সাহায্যের জন্য নির্ভর করব ৷" যদিও এখনও পর্যন্ত কোন গোষ্ঠীই প্রাথমিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, সন্দেহ অনেকাংশেই সোমালিয়ার জলদস্যুদের উপরেই যাচ্ছে নৌবাহিনীর ৷ যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাদের তৎপরতা কমে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সোমালি জলদস্যুদের উপদ্রব অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে ৷ তবে দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের জাহাজের উপর হামলা এই অঞ্চলে বিস্তৃত বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফের শুরু হতে পারে এমন উদ্বেগও ক্রমে বাড়ছে। শুক্রবার, 'ইউকেএমটিও শিপার'দের জন্য একটি সতর্ক বার্তা জারি করে জানিয়েছে, রুয়েনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক মনে করছে ক্রুদের আর জাহাজের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। এই অঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলদস্যুতা বিরোধী বাহিনী জানিয়েছে, স্প্যানিশ ফ্রিগেট ভিক্টোরিয়া জলদস্যুদের দ্বারা ছিনতাই হওয়া জাহাজ আটকানোর পথেই ছিল। (এপি)
আরও পড়ুন: