নয়াদিল্লি, 18 জুন : দেশের 1700 টি শাখার 10 লাখ জুনিয়র ডাক্তার আজ জাতীয় প্রতিবাদ দিবস পালন করবেন ৷ চিকিৎসকদের উপর হিংসার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর দাবিতে এই প্রতিবাদ বলে জানা গিয়েছে ৷
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জে এ জয়লাল বলেন, "চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাদানকারীদের প্রতিনিয়ত যেভাবে শারীরিক হেনস্থা করা হচ্ছে তা দেখে আমরা ভীষণ ব্যাথিত হয়েছি ৷ অসমের তরুণ চিকিৎসকের উপর হামলা, মহিলা চিকিৎসকদের হেনস্থা, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে হুগলির ভয়ঙ্কর ঘটনা এবং এমনকি অভিজ্ঞ প্র্যাকটিশনারদের উপর আক্রমণের ঘটনাগুলি সত্যিই মানসিক আঘাত সৃষ্টি করছে ৷ এটি দিনের পর দিন ঘটছে, তাই আইএমএ এই ধরনের হিংসার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আইনের জন্য জোর দিচ্ছে ৷"
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মচারী ও ক্লিনিক্যাল প্রতিষ্ঠা (সহিংসতা ও সম্পত্তির ক্ষতি নিষিদ্ধ) বিল 2019 এ বলা হয়েছে কর্মরত চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবাদানকারী ব্যক্তিদের হেনস্থা করলে 10 বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে ৷ কিন্তু এই আইন এখনও কার্যকর করা হয়নি ৷
জয়লাল একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, "11 বছর কেটে গেছে নাসিকের একজন চিকিৎসক শারিরীক হেনস্থায় মাথায় আঘাত লাগার কারণে মারা গিয়েছেন ৷ কিন্তু এই ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তি এখনও ধরা পড়েনি ৷ এরপরেও প্রায় 300টি ছোট হিংসার ঘটনা ঘটলেও তা কেবলমাত্র 2020 সালে রিপোর্ট করা হয় ৷"
তিনি আরও জানান, 2020 তে করোনার জেরে প্রায় 750 জন চিকিৎসক মারা গিয়েছিলেন এবং করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে 700 জনেরও বেশি চিকিৎসক মারা যান ৷
আজকের প্রতিবাদ পরিকল্পনা নিয়ে জয়লাল জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ প্রবীণ মন্ত্রীদের স্মারকলিপি দেওয়া হবে আজ ৷ সমস্ত জায়গার শাখা সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেবে ৷ আজ সকাল 9 টা থেকে প্রতিবাদ দিবসে অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ানস অফ ইন্ডিয়া, অ্যাসোসিয়েশন অফ সার্জেনস অফ ইন্ডিয়া, মেডিকেল স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক, জুনিয়র ডক্টর নেটওয়ার্কের মতো সমস্ত বিশেষ সংস্থাগুলি অংশ নেবে ।
আরও পড়ুন : নিভু নিভু করেও নিভছে না চিরাগ...
তিনি আরও বলেন," বিহার এবং কেরালার মধ্য অংশের চিকিৎসকরা এই দাবিতে সকালে তাদের ক্লিনিকগুলি বন্ধ রাখবেন ৷ আমরা সরকারের কাছে প্রতিটি হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার এবং হাসপাতালগুলিকে সুরক্ষিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার দাবি করছি ৷"
বাবা রামদেবের বক্তব্য প্রসঙ্গে জয়লাল বলেন, "রামদেব করোনার অ্যালোপ্যাথিক আধুনিক ওষুধ ও আধুনিক অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার ইত্যাদির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ৷ যা আমাদের দেশের নাগরিক স্বার্থের পরিপন্থী ৷ তাই সেই অনুযায়ী আমরা প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছি ৷ আমরা আমাদের সংস্কৃতি এবং প্রাচীন বিজ্ঞানের অংশ হিসাবে আয়ুর্বেদকে সম্মান করি, তবে আমরা কখনওই এর বাইরে গিয়ে সমালোচনা করি না ৷"