নয়াদিল্লি, 28 অক্টোবর: বৃহস্পতিবার ভারতের 8 প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে কাতারের আদালত ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ রয়েছে ৷ কাতারের আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা ছাড়াও বিভিন্ন বিকল্প পথের সন্ধানে রয়েছে ভারত ৷ শুক্রবার বেশি রাতের দিকে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ সমস্যার সমাধানের জন্য দিল্লি বিভিন্ন বিকল্প পথ খুঁজছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, কাতারের কোর্ট অফ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। সেই রায়ের কপি এখনও হাতে পায়নি ভারত । আদালতের রায় নিয়ে কোনও মন্তব্যও করেনি কাতার । ওয়াকিবহল মহলের অনুমান, কাতারের আদালতের রায়টি পর্যালোচনা ও যাচাই করার পরে নয়াদিল্লি সম্ভবত ঠিক করবে, কোন বিকল্প পথে হাঁটা ভালো । ভারত কূটনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবেও বিষয়টির সমাধান করার বিষয়ে এগতে পারে ।
এছাড়া কাতারের আমির বা রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে বন্দিদের ক্ষমা চাওয়ার রীতি আছে। আমির ক্ষমা করে দিলে বন্দিরা সাজা থেকে মুক্ত হন। সেই আবেদন করা যায় কিনা সেটাও দেখছে দিল্লি ৷ এছাড়া দণ্ডিত বন্দিদের স্থানান্তরের বিষয়ে ভারত-কাতার চুক্তি ব্যবহার করার পথও খোলা রয়েছে ৷ 2015 সালে ভারত-কাতার চুক্তি হয় ৷ এই চুক্তিতে একে অপরের বন্দিদের নিজের দেশে নিয়ে এসে সাজা পূর্ণ করার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে সেটিকেও বিকল্প হিসেব ভারছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন: কাতারকে নিয়ে নয়া কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারত
বৃহস্পতিবার কাতারের আদালতের এই রায় কার্যত স্তম্ভিত করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকারকে ৷ কেন্দ্র এই মামলায় সমস্ত আইনি বিকল্প পথগুলি অন্বেষণ করে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃত্তি বলা হয়েছে, "আমরা মৃত্যুদণ্ডের রায়ে গভীরভাবে মর্মাহত এবং বিস্তারিত রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করছি । আমরা ওই 8 জন প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আইনিজ্ঞদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি ৷ সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রাক্তন নৌসেনাদের মুক্তির দাবিতে সরব কংগ্রেস
উল্লেখ্য, এই 8 জন প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কাতারের প্রাইভেট কোম্পানি আল দাহরার সঙ্গে কাজ করতেন ৷ এই ভারতীয় নাগরিকদের গত বছরের অগস্ট মাসে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল । তবে কাতার কর্তৃপক্ষ বা দিল্লি কেউই ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে তা প্রকাশ্যে আনেনি।
বিদেশ মন্ত্রক বলেছে তারা ভারতীয়দের সমস্ত কনস্যুলার এবং আইনি সহায়তা দেবে। এই সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আমরা এই মামলাটিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং এটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সমস্ত কনস্যুলার এবং আইনি সহায়তা দেব। আমরা কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার রায়ের বিষয়টি তুলে ধরব ৷"
(সংবাদ সংস্থা-পিটিআই)