নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: মরশুমি ইনফ্লুঞ্জাতেও নিস্তার নেই ৷ ভয় ধরাচ্ছে রোগের একটি বিশেষ ধরনের 'সাবটাইপ' ৷ বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হচ্ছে এইচ3এন2 (Seasonal Influenza Subtype H3N2) ৷ এইচ3এন2-এ আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছে ৷ এদিন দু'জনে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে (Death Cases by H3N2) ৷ এঁদের মধ্যে একজন কর্ণাটকের বাসিন্দা এবং অন্যজন হরিয়ানার ৷ এই বিষয়ে শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে ৷ তবে, কেন্দ্রের আশা, চলতি মাসের শেষ থেকেই এই রোগের প্রকোপ কমবে ৷
তথ্য বলছে, গত 2 জানুয়ারি থেকে 5 মার্চের মধ্যে ভারতের অন্তত 451 জন এইচ3এন2 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ৷ এদিনের প্রকাশ করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "চলতি বছরের শুরু থেকে যাঁরা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশের শরীরে সাবটাইপ এইচ3এন2-এর উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷"
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে কতজনের মৃত্যু হচ্ছে, আর কারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেদিকে সতর্ক নজর রয়েছে সরকারের ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, যাঁদের মধ্যে কোমর্বিডিটি বা অন্যান্য অসুখ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ৷ এখনও পর্যন্ত এইচ3এন2 ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে কর্ণাটক ও হরিয়ানায় একজন করে মোট দু'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: 2 মাসে রাজ্যে অন্তত 123 শিশুর মৃত্যু, গরম বাড়ায় কমছে রোগের প্রকোপ
প্রসঙ্গত, মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা আদতে একটি ভাইরাসঘটিত ব্যধি ৷ সারা বিশ্বেই এর প্রকোপ রয়েছে ৷ বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময় এর প্রকোপ বাড়ে ৷ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভারতের প্রত্য়েক বছর দু'বার করে এই মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় ৷ সেই হিসাবে বলা যায়, মার্চ মাসের শেষ থেকেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং রোগের প্রকোপ কমবে ৷ তবে, সরকার যে কোনও পরিস্থিতিরই মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৷"