ETV Bharat / bharat

13th anniversary of 26/11 attack : 26/11-র 13 বছর, আজও ট্র্যাপিজের সুতোয় ভারত-পাক সম্পর্ক - 26/11 হামলার 13 বছর

13 বছর (13th anniversary of 26/11 Mumbai attack) কাটল 26/11 মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার ৷ এখনও দোষীদের শাস্তি হয়নি ৷ এতটুকুও উন্নতি হয়নি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের (India Pakistan relationship)৷

India Pakistan relationship after 13 years of 26 11 Mumbai terror attack
26/11-র 13 বছর, আজও ট্র্যাপিজের সুতোয় ভারত-পাক সম্পর্ক
author img

By

Published : Nov 26, 2021, 10:48 AM IST

কলকাতা, 26 নভেম্বর: 26 নভেম্বর, 2021 (26/11 Mumbai terror attack)৷ 13 বছর (13th anniversary of 26/11 Mumbai attack) আগে আজকের দিনটাই বিভীষিকা হয়ে নেমে এসেছিল দেশের বুকে ৷ পাকিস্তানি জঙ্গি হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই (Mumbai attacks)৷ বেঘোরে মরতে হয়েছিল 166 জনকে ৷ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের পর্যুদস্ত করতে শহিদ হন দেশের 18 জন বীর-জওয়ান ৷ জখম হন বহু মানুষ ৷ তবে পাক ষড়যন্ত্রে সন্ত্রাসের কালো হাত যে গভীর জখম দিয়েছিল, তার ক্ষত আজও দগদগে ৷ সেই কারণেই এত বছর পেরিয়ে আজও ট্র্যাপিজের সুতোর উপর দাঁড়িয়ে ভারত-পাক সম্পর্ক (India Pakistan relationship)৷

দেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন 2008 সালের 26 নভেম্বর (26 November 2008 terrorist attack)৷ সমুদ্রপথ ধরে দেশের মাটিতে ঢুকে পড়ে 10 জঙ্গি ৷ এরপর মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় তারা ৷ মুড়ি-মুড়কির মতো গুলি চলতে থাকে ৷ রক্তে লাল হয় মায়ানগরী ৷ দিল্লির দাবি, করাচিতে বসে গোটা ঘটনা পরিচালনা করেছিল লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba)৷ তার একাধিক প্রমাণ দিয়ে এক ডজনেরও বেশি ডসিয়র পাকিস্তানকে পাঠানো হয় ৷ হাফিজ মহম্মদ সইদ (26/11 attack mastermind Hafiz Muhammad Saeed) ও জাকিউর রহমান লাকভিই যে 26/11 (November 2008) হামলার মাস্টারমাইন্ড তার তথ্য-প্রমাণ দাখিল করা হয় সেই ডসিয়রগুলিতে ৷ দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক মহলেও তোলপাড় ফেলে দেয় দেশের বিদেশমন্ত্রক ৷

তবে আগাগোড়া যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে এসেছে ইসলামাবাদ ৷ তাদের যুক্তি, যে সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত চালিয়েছে পাকিস্তানি আদালত এবং বারবার তাদের ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে ৷ অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে বলে পাকিস্তান দাবি করলেও এক যুগ পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ৷ 26 নভেম্বরের জঙ্গি হামলার ঘটনাই যে প্রতিবেশী দু দেশের মধ্যে বৈরিতাকে চরমে নিয়ে গিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ পারস্পরিক সমঝোতা ও আলোচনার টেবিলে একত্র হওয়ার পরিবেশও আপাতত নেই দু দেশের মধ্যে ৷ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রসঙ্গ এলেই কাশ্মীর ইস্যুকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে তুলে ধরেছে পাকিস্তান ৷ অপরদিকে, ভারত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে 26/11 হামলার মূল চক্রীদের শাস্তি দেওয়ার উপর ৷

আরও পড়ুন: 26/11-র মূলচক্রী লকভিকে 15 বছরের কারাদণ্ড দিল পাক আদালত

26/11 হামলার পর থেকেই আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান (The tipping point in Indo-Pak relations) সীমান্ত ৷ পরপর সংঘর্ষবিরতি করে ভারতের ভূখণ্ডে ধেয়ে এসেছে গুলি-বোমা ৷ তার পাল্টা জবাবও দিচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরাও ৷ গোলাগুলির মধ্যেই জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও পাকিস্তান চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি দিল্লির ৷ ভূস্বর্গে বেশ কয়েকটি এনকাউন্টারে নিকেশ করা হয়েছে পাক জঙ্গিদের ৷ তবে সেই অভিযোগ না-মেনে ভারতের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে সরব ইমরান খানের দেশ ৷

আরও পড়ুন: 26/11; তারপর এক যুগ...

মাথা নোয়াতে নারাজ দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ (Mumbai attacks the tipping point in Indo Pak relations)৷ নাশকতার পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বেরিয়া না-আসা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে আস্থাবর্ধক কোনও পদক্ষেপ করতে নারাজ দিল্লি ৷ অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও আশা আপাতত দেখছে না দু দেশের মানুষ ৷ বছরের পর বছর কাটছে ৷ 26/11 হামলার দীর্ঘ 13 বছর পরও ন্যায়বিচারের আশায় রয়েছেন মৃতদের পরিজন ৷

আরও পড়ুন: "আমি ওই মুখটা কোনওদিনও ভুলতে পারিনি", দেবিকার পোস্টে 26/11-র দগদগে স্মৃতি

কলকাতা, 26 নভেম্বর: 26 নভেম্বর, 2021 (26/11 Mumbai terror attack)৷ 13 বছর (13th anniversary of 26/11 Mumbai attack) আগে আজকের দিনটাই বিভীষিকা হয়ে নেমে এসেছিল দেশের বুকে ৷ পাকিস্তানি জঙ্গি হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই (Mumbai attacks)৷ বেঘোরে মরতে হয়েছিল 166 জনকে ৷ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের পর্যুদস্ত করতে শহিদ হন দেশের 18 জন বীর-জওয়ান ৷ জখম হন বহু মানুষ ৷ তবে পাক ষড়যন্ত্রে সন্ত্রাসের কালো হাত যে গভীর জখম দিয়েছিল, তার ক্ষত আজও দগদগে ৷ সেই কারণেই এত বছর পেরিয়ে আজও ট্র্যাপিজের সুতোর উপর দাঁড়িয়ে ভারত-পাক সম্পর্ক (India Pakistan relationship)৷

দেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন 2008 সালের 26 নভেম্বর (26 November 2008 terrorist attack)৷ সমুদ্রপথ ধরে দেশের মাটিতে ঢুকে পড়ে 10 জঙ্গি ৷ এরপর মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় তারা ৷ মুড়ি-মুড়কির মতো গুলি চলতে থাকে ৷ রক্তে লাল হয় মায়ানগরী ৷ দিল্লির দাবি, করাচিতে বসে গোটা ঘটনা পরিচালনা করেছিল লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba)৷ তার একাধিক প্রমাণ দিয়ে এক ডজনেরও বেশি ডসিয়র পাকিস্তানকে পাঠানো হয় ৷ হাফিজ মহম্মদ সইদ (26/11 attack mastermind Hafiz Muhammad Saeed) ও জাকিউর রহমান লাকভিই যে 26/11 (November 2008) হামলার মাস্টারমাইন্ড তার তথ্য-প্রমাণ দাখিল করা হয় সেই ডসিয়রগুলিতে ৷ দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক মহলেও তোলপাড় ফেলে দেয় দেশের বিদেশমন্ত্রক ৷

তবে আগাগোড়া যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে এসেছে ইসলামাবাদ ৷ তাদের যুক্তি, যে সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত চালিয়েছে পাকিস্তানি আদালত এবং বারবার তাদের ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে ৷ অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে বলে পাকিস্তান দাবি করলেও এক যুগ পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ৷ 26 নভেম্বরের জঙ্গি হামলার ঘটনাই যে প্রতিবেশী দু দেশের মধ্যে বৈরিতাকে চরমে নিয়ে গিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ পারস্পরিক সমঝোতা ও আলোচনার টেবিলে একত্র হওয়ার পরিবেশও আপাতত নেই দু দেশের মধ্যে ৷ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রসঙ্গ এলেই কাশ্মীর ইস্যুকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে তুলে ধরেছে পাকিস্তান ৷ অপরদিকে, ভারত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে 26/11 হামলার মূল চক্রীদের শাস্তি দেওয়ার উপর ৷

আরও পড়ুন: 26/11-র মূলচক্রী লকভিকে 15 বছরের কারাদণ্ড দিল পাক আদালত

26/11 হামলার পর থেকেই আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান (The tipping point in Indo-Pak relations) সীমান্ত ৷ পরপর সংঘর্ষবিরতি করে ভারতের ভূখণ্ডে ধেয়ে এসেছে গুলি-বোমা ৷ তার পাল্টা জবাবও দিচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরাও ৷ গোলাগুলির মধ্যেই জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও পাকিস্তান চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি দিল্লির ৷ ভূস্বর্গে বেশ কয়েকটি এনকাউন্টারে নিকেশ করা হয়েছে পাক জঙ্গিদের ৷ তবে সেই অভিযোগ না-মেনে ভারতের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে সরব ইমরান খানের দেশ ৷

আরও পড়ুন: 26/11; তারপর এক যুগ...

মাথা নোয়াতে নারাজ দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ (Mumbai attacks the tipping point in Indo Pak relations)৷ নাশকতার পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বেরিয়া না-আসা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে আস্থাবর্ধক কোনও পদক্ষেপ করতে নারাজ দিল্লি ৷ অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও আশা আপাতত দেখছে না দু দেশের মানুষ ৷ বছরের পর বছর কাটছে ৷ 26/11 হামলার দীর্ঘ 13 বছর পরও ন্যায়বিচারের আশায় রয়েছেন মৃতদের পরিজন ৷

আরও পড়ুন: "আমি ওই মুখটা কোনওদিনও ভুলতে পারিনি", দেবিকার পোস্টে 26/11-র দগদগে স্মৃতি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.