নয়াদিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: তেলেঙ্গানায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য নয়া কৌশল নিল কংগ্রেস ৷ এই প্রথম কোনও রাজ্যের ভোট প্রচারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের 119 জন কংগ্রেস নেতাকে প্রচারে নামাল চলেছে হাত শিবির ৷ জানা গিয়েছেন, তেলেঙ্গানার 119টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে ভোটারদের দরজায় দরজায় গিয়ে সোমবার প্রচার চালিয়েছেন 119 জন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ৷ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের প্রাক্তন ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা এই প্রচারে এদিন অংশ নেন ৷
উল্লেখ্য, রবিবার হায়দরাবাদে দলের মেগা জনসভার মঞ্চ থেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তেলেঙ্গানাবাসীর জন্য 6টি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি ৷ তাঁর সেই ঘোষণার পরেই 2 দিনের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষের পরের দিনই দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে এহেন প্রচারে ঝাঁপাল কংগ্রেস ৷ সোনিয়া গান্ধির ঘোষণাকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতেই নেতাদের দিয়ে এই ডোর-টু-ডোর প্রচারের পরিকল্পনা করেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ মহিলা, যুব সম্প্রদায়, তফশিলি জাতি-উপজাতির কথা মাথায় রেখে ওই 6 প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধি ৷ দলের প্রদেশ প্রচার কমিটির প্রধান মধু গৌড় ইয়াসকি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের দাবি ক্ষমতায় আসার 100 দিনের মধ্যে সব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে কংগ্রেস ৷
এদিন কংগ্রেসের ঘোষিত প্রতিশ্রুতিগুলি ভোটারদের জানাতে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে যান কংগ্রেস নেতারা ৷ রবিবার রাতও তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেই কাটান ৷ এই বিশেষ প্রচারে এদিন ওয়ারাঙ্গেল পশ্চিম কেন্দ্রে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান যান রাজেন্দ্র নগর কেন্দ্রে, নামপল্লিতে যান রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট, কংগ্রেস মিডিয়া সেলের প্রধান পবন খেরা যান ভিকারাবাদ কেন্দ্রে, দলের সোশাল মিডিয়া প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনাত যান জনগাঁও কেন্দ্রে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য দীপা দাশমুন্সি যান মহেশ্বরাম কেন্দ্রে ৷
আরও পড়ুন: 'নতুন সংসদে নতুন কিছু হবে না, রাজনীতির পদ্ধতি পরিবর্তন করুন'; কেন্দ্রকে কটাক্ষ খাড়গের
এই প্রচার পর্বের সময় 6টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া লিফলেট বিলি করেন কংগ্রেস নেতারা, আবাদেন জানান বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করার ৷ এই প্রসঙ্গে তেলেঙ্গানার এআইসিসি প্রধান রোহিত চৌধুরী ইটিভি ভারতকে জানান, তিনি এরকম প্রচার আগে কখনও দেখেননি ৷ দেশের নানা প্রান্ত থেকে বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচার করেছেন ৷ কংগ্রেসের প্রতি ভোটারদের আগ্রহের প্রমাণও মিলেছে এই প্রচার থেকে ৷ গণেশ চতুর্থী থেকে এই প্রচার শুরু হওয়ায় খুশি কংগ্রেস নেতারা ৷ কংগ্রেসের দাবি, রবিবারের সভায় কমপক্ষে 10 লক্ষ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন ৷