নয়াদিল্লি, 19 অক্টোবর: সামনেই রাজ্য়ে বিধানসভা ভোট ৷ আর তার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ফের একবার জল্পনা উস্কে দিলেন অশোক গেহলত ৷ ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন, কলকাঠি যতই নাড়া হোক না কেন, রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রীর দাবিদার তিনিই ৷ আর এই মন্তব্যের জেরে রাজস্থানের রাজনীতিতে যে আরও একবার মরুঝড় উঠতে পারে সে বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷
রাজস্থান-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন ৷ যদিও এখনও রাজস্থানের সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস ৷ তার মাঝেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত জানান, তিনি রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক পদ ছাড়তে চান কিন্তু পদ তাঁকে ছাড়ছে না ৷ এখানেই শেষ নয়, গেহলত কার্যত জোরের সঙ্গেই জানিয়েছেন, সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার তাঁকে ছেড়ে যাবে না।
গত বিধানসভা ভোটের পর গেহলতকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় কংগ্রেস ৷ অন্যদিকে, সচিন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ এরপর অবশ্য দলের অন্দরেও জলঘোলা কম হয়নি ৷ গেহলতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়েই মুখ খুলেছেন সচিন ৷ এমনকী উপমুখ্যমন্ত্রীর পদও ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্বে রাশ টানতে সমর্থ হয় এআইসিসি নেতৃত্ব ৷ সচিন পাইলট দল ছাড়েননি ৷ কিন্তু এদিন অশোক গেহলতের মন্তব্যে ফের একবার জলঘোলা হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷
এদিন অশোক গেহলত জানান, কংগ্রেস প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জয়ের যোগ্যতাই একমাত্র মাপকাঠি ৷ এর সঙ্গেই অবশ্য এও তিনি জানান, তাঁর মধ্যে এমন কিছু আছে যে দলের হাইকমান্ড তাকে তিনবার রাজ্যের নেতৃত্বের জন্য বেছে নিয়েছে ৷ নেতৃত্বের যে কোনও সিদ্ধান্তই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
অশোক গেহলত এদিন বলেন, "সোনিয়া গান্ধি কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর, তিনি প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করার। আমি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলাম না কিন্তু তিনি আমাকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিলেন ৷ আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে চাই কিন্তু এই পদ আমাকে ছাড়বে না ৷" গেহলতের সরকারের বিরুদ্ধে 2020 সালে সচিন পাইলট বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ৷ সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, তিনি ক্ষমা করে, সব ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন ৷
অন্যদিকে, এদিন বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং আয়কর বিভাগের অভিযানের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন গেহলত ৷ একইসঙ্গে, আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার জেরে অবিলম্বে এজেন্সির এই তৎপরতা বন্ধ করতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়েছেন এদিন ৷ পাশাপাশি গেহলত নির্বাচন কমিশনকেও এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ‘খাড়গে সফল’, অ-গান্ধি সভাপতির বর্ষপূর্তিতে বলছে কংগ্রেস
দলীয় টিকিট দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, "কোনও মতপার্থক্য নেই ৷ সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হবে।" উল্লেখ্য, আগামী 25 নভেম্বর রাজস্থানের নির্বাচন হবে ৷ ভোট গণনা হবে 3 ডিসেম্বর। (পিটিআই)