মধ্যপ্রদেশ, 5 জুলাই: মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় নিন্দার ঝড় দেশের সর্বত্র ৷ এক আদিবাসী তরুণে গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লাকে ৷ এবার তাঁর বাড়ির একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন ৷ যদিও অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ভাঙার কথা অস্বীকার করেছেন ৷
সামনেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট ৷ তার আগে এই ঘটনায় যথেষ্ট কোণঠাসা রাজ্য বিজেপি ৷ ঘটনায় একদিকে প্রবল জনরোষ, অন্যদিকে বিরোধীদের চাপের মধ্যে কার্যত ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করল বিজেপি ৷ জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বুধবার প্রবেশ শুক্লার জমিতে নির্মিত একটি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৷ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের তরফে একটি বুলডোজার দিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রবেশ শুক্লা এবং তাঁর পরিবারের একটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে ৷ পুলিশের দাবি, জমি অবৈধভাবে দখল করে এই নির্মাণ করা হয়েছিল ৷ আর সে কারণেই তা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর আগে, সিধি জেলার এক আদিবাসী চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকের গায়ে প্রস্রাব করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়ে প্রবেশ শুক্লাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলাও দায়ের করে ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির 294 (অশ্লীল কাজ), 504 (শান্তিভঙ্গের জন্য ইচ্ছাকৃত অবমাননা) এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের ধারার অধীনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ ৷ একইসঙ্গে, মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ঘটনায় কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানান, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রবেশ শুক্লার বিরুদ্ধে এনএসএ-র অধীনে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "এই কাজ জঘন্য, নিন্দনীয় এবং মানবতার জন্য লজ্জাজনক ৷" অন্যদিকে, কংগ্রেস এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তের সম্পত্তি ক্রোক করারও দাবি জানায়। আর এদিনই বুলডোজার দিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে দিল প্রশাসন ৷ যদিও অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় প্রবেশের আত্মীয়দের দাবি, বাড়ি ভাঙার ভিডিয়োটি পুরনো ৷ এই ভিডিয়োর সঙ্গে বর্তমানের কোনও সম্পর্ক নেই ৷
আরও পড়ুন: এনসিপির কর্তৃত্ব দখলে কমিশনে অজিত, পালটা আবেদন শরদ শিবিরের
রাজ্য বিজেপির প্রধান ভিডি শর্মা জানান, এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য রাজ্য বিজেপি একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন জনজাতি বিকাশ প্রাধিকারের চেয়ারম্যান রামলাল রাউতেল। বিধায়ক শরদ কোল, অমর সিং এবং বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি কান্তদেব সিং ৷