ETV Bharat / bharat

নাবালিকার হাত ধরা বা প্যান্টের জিপ খোলা যৌন হেনস্থা নয় : বম্বে হাইকোর্ট

ফের শিরোনামে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ৷ এবার বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গান্ডিওয়ালা একটি মামলায় রায় দিয়েছেন কোনও নাবালিকার হাত ধরা বা প্যান্টের জিপ খোলার ঘটনাকে পকসো আইনে যৌন হেনস্থা হিসেবে ধরা যাবে না৷

নাবালিকার হাত ধরা বা প্যান্টের জিপ খোলা ‘যৌন হেনস্তা নয় : বম্বে হাই কোর্ট
নাবালিকার হাত ধরা বা প্যান্টের জিপ খোলা ‘যৌন হেনস্তা নয় : বম্বে হাই কোর্ট
author img

By

Published : Jan 28, 2021, 5:12 PM IST

Updated : Jan 28, 2021, 5:30 PM IST

মুম্বই, 28 জানুয়ারি : কোনও নাবালিকার হাত ধরা বা প্যান্টের জিপ খোলার ঘটনাকে পকসো আইনে যৌন হেনস্থা হিসেবে ধরা যাবে না৷ বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ৷ 50 বছরের এক ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে গত 15 জানুয়ারি এই রায় দেন বিচারপতি পুষ্পা গান্ডিওয়ালা৷

ওই ব্যক্তি দায়রা আদালতের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা দায়ের করেছিলেন ৷ ওই মামলায় লিবুনাস কুজুর নামে ওই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের একটি মেয়ের যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছিল৷ 2020 সালের অক্টোবরের ওই রায়ে পাঁচ বছরের কারাবাস হয় লিবুনাসের৷

রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি গান্ডিওয়ালা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি যৌন হেনস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল, এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু সে যৌন হেনস্থা করেছে কি না, তার প্রমাণ মেলেনি ৷ কারণ, পকসো আইনে বলা আছে যে ‘পেনিট্রেশন না হলেও যৌনতা করতে চেয়ে শারীরিক সংযোগ হলে’ তবেই তাকে ‘যৌন হেনস্থা’র আওতায় আনা যাবে৷ তাই, নির্যাতিতার হাত ধরা বা অভিযুক্তের নিজের প্যান্টের জিপ খোলাকে ‘যৌন হেনস্থা’ বলা যাবে না৷

আরও পড়ুন : ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ না হলে যৌন নিপীড়ন নয় !

আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় কুজুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের পর্যাপ্ত প্রমাণ মিলছে না ৷ বড়জোর অভিযুক্তকে আইপিসি-র 354-এ (1) (ক) এবং পকসো আইনের 12 নম্বর ধারায় দোষি সাব্যস্ত করা যায়৷

2018 সালের 12 ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটে ৷ শিশুর মায়ের অভিযোগ, তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে আসে কুজুর৷ তিনি ফিরে এসে দেখেন যে কুজুর তাঁর মেয়ের হাত ধরে আছে৷ আর কুজুরের প্যান্টের জিপ খোলা৷ পরে আদালতে ওই মহিলা জানান যে তাঁর মেয়ে তাঁকে জানিয়েছে যে কুজুর মেয়েটিকে নিজের গোপনাঙ্গ দেখায় ও বিছানায় আসতে বলে৷

উচ্চ আদালত সব দিক খতিয়ে দেখার পর কুজুরকে পকসো আইনের 8 ও 10 নম্বর ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন৷ কিন্তু বাকি ধারায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করেছে আদালত৷ কুজুর যেহেতু পাঁচ মাস জেল খেটেছে, তাই সংশোধিত রায়ে কুজুরের আর জেল খাটার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে আদালত৷

আরও পড়ুন : নাবালিকার যৌন হেনস্থা নিয়ে হাইকোর্টের 'ডিসটার্বিং' রায় স্থগিত শীর্ষ আদালতে

কয়েকদিন আগেই নাগপুর বেঞ্চের এই বিচারপতি পুষ্পা গান্ডিওয়ালার একটি রায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ সেই মামলায় 39 বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক নাবালিকার স্তনে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল৷ ওই মামলায় বিচারপতি জানিয়েছিলেন যে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ না হলে বিষয়টি যৌন হেনস্থা হিসেবে ধরা যাবে না৷ এই নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়৷ সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ের উপর বুধবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে৷

মুম্বই, 28 জানুয়ারি : কোনও নাবালিকার হাত ধরা বা প্যান্টের জিপ খোলার ঘটনাকে পকসো আইনে যৌন হেনস্থা হিসেবে ধরা যাবে না৷ বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ৷ 50 বছরের এক ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে গত 15 জানুয়ারি এই রায় দেন বিচারপতি পুষ্পা গান্ডিওয়ালা৷

ওই ব্যক্তি দায়রা আদালতের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা দায়ের করেছিলেন ৷ ওই মামলায় লিবুনাস কুজুর নামে ওই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের একটি মেয়ের যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছিল৷ 2020 সালের অক্টোবরের ওই রায়ে পাঁচ বছরের কারাবাস হয় লিবুনাসের৷

রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি গান্ডিওয়ালা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি যৌন হেনস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল, এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু সে যৌন হেনস্থা করেছে কি না, তার প্রমাণ মেলেনি ৷ কারণ, পকসো আইনে বলা আছে যে ‘পেনিট্রেশন না হলেও যৌনতা করতে চেয়ে শারীরিক সংযোগ হলে’ তবেই তাকে ‘যৌন হেনস্থা’র আওতায় আনা যাবে৷ তাই, নির্যাতিতার হাত ধরা বা অভিযুক্তের নিজের প্যান্টের জিপ খোলাকে ‘যৌন হেনস্থা’ বলা যাবে না৷

আরও পড়ুন : ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ না হলে যৌন নিপীড়ন নয় !

আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় কুজুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের পর্যাপ্ত প্রমাণ মিলছে না ৷ বড়জোর অভিযুক্তকে আইপিসি-র 354-এ (1) (ক) এবং পকসো আইনের 12 নম্বর ধারায় দোষি সাব্যস্ত করা যায়৷

2018 সালের 12 ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটে ৷ শিশুর মায়ের অভিযোগ, তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে আসে কুজুর৷ তিনি ফিরে এসে দেখেন যে কুজুর তাঁর মেয়ের হাত ধরে আছে৷ আর কুজুরের প্যান্টের জিপ খোলা৷ পরে আদালতে ওই মহিলা জানান যে তাঁর মেয়ে তাঁকে জানিয়েছে যে কুজুর মেয়েটিকে নিজের গোপনাঙ্গ দেখায় ও বিছানায় আসতে বলে৷

উচ্চ আদালত সব দিক খতিয়ে দেখার পর কুজুরকে পকসো আইনের 8 ও 10 নম্বর ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন৷ কিন্তু বাকি ধারায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করেছে আদালত৷ কুজুর যেহেতু পাঁচ মাস জেল খেটেছে, তাই সংশোধিত রায়ে কুজুরের আর জেল খাটার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে আদালত৷

আরও পড়ুন : নাবালিকার যৌন হেনস্থা নিয়ে হাইকোর্টের 'ডিসটার্বিং' রায় স্থগিত শীর্ষ আদালতে

কয়েকদিন আগেই নাগপুর বেঞ্চের এই বিচারপতি পুষ্পা গান্ডিওয়ালার একটি রায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ সেই মামলায় 39 বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক নাবালিকার স্তনে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল৷ ওই মামলায় বিচারপতি জানিয়েছিলেন যে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ না হলে বিষয়টি যৌন হেনস্থা হিসেবে ধরা যাবে না৷ এই নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়৷ সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ের উপর বুধবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে৷

Last Updated : Jan 28, 2021, 5:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.