ETV Bharat / bharat

Ganesh Chaturthi 2022: ভাষা ভেদে বদলে যায় নাম, গণপতি আরাধনার অজানা কথা

পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ-ভারতের প্রায় সর্বত্রই নানান রূপে, নানা পরিচয়ে পূজিত হন সিদ্ধিদাতা গণেশ (History and Culture of Ganesh Festival) ৷ হিন্দু শাস্ত্র মতে, যে কোনও পুজোয় সবার আগে পুজো করা হয় পার্বতী নন্দনকে (Ganesh Chaturthi) ৷

History and Culture of Ganesh Festival
History and Culture of Ganesh Festival
author img

By

Published : Sep 2, 2022, 9:01 AM IST

কলকাতা, 27 অগস্ট: পঞ্চাঙ্গ মতে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করা হয় ৷ হিন্দু শাস্ত্র মতে ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে (Ganesh Chaturthi) পার্বতী নন্দনের পুজোর দিন ৷ বাঙালির দুর্গোৎসবের মতোই ভারতের একাধিক রাজ্যে গণেশ পুজো উৎসব হিসাবে পালিত হয় ৷ আর এই তালিকায় সবার আগে আসে মহারাষ্ট্র ৷ যেখানে ‘গণপতি মহোৎসব’ পালন করে মারাঠিরা ৷ প্রতি ঘরে মোদক, লাড্ডু, ফুল, বেলপাতা, আতপ চাল, চন্দন ও সিঁদুর দিয়ে সিদ্ধিদাতার আরাধনা করা হয় ৷

আর এ বার আসা যাক গণেশ পুজোর নিয়ম ও রীতিতে (History and Culture of Ganesh Festival) ৷ গণেশ পুজো পুরোহিত ছাড়াও বাড়িতে করা যায় ৷ মঙ্গলঘট, লাল চেলি, সিঁদুর, আতপ চাল, ফুল, বেলপাতা, ধূপ, প্রদীপ জ্বালিয়ে গণেশের পুজো করা যায় ৷ মূলত মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে, আরতি করে গণেশ পুজো করা যায় বাড়িতেই ৷ তবে, শাস্ত্র মেনে মহাযজ্ঞের মাধ্যমে পুজো করতে হলে অবশ্যই পুরোহিত দিয়েই পুজো হয় ৷ আর প্রসাদে মূষক সওয়ারিকে তাঁর পছন্দের নানান স্বাদের মোদক, লাড্ডু ও ফল থাকতেই হবে ৷

বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা হিসাবে শিব-পার্বতীর পুত্রের আরাধনা করা হয় ৷ সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলুগু ভাষায় গণেশ চতুর্থী বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি বলে পরিচিত ৷ ‘চবথ’ বলেও গণেশ চতুর্থী পরিচিত ৷ পাশাপাশি, নেপালি ভাষায় এই উৎসবকে ‘চথা’ বলে সম্বোধন করা হয় ৷ ভাদ্র মাসের শুক্ল চতুর্থীতে সিদ্ধিদাতার আরাধনা করা হয় ৷ মূলত গণেশের জন্মতিথি হিসাবে এই দিনটিকে পালন করা হয় ভূ-ভারতে ৷ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানার মতো রাজ্যে 10 দিন ধরে গণেশ উৎসব হয় ৷ অনন্ত চতুর্দশীতে গণেশ বিসর্জন হয় ৷ যা গণেশ পুজোর সবচেয়ে বড় একটা অংশ ৷ এই দিন দেবতার বিশেষ আরতির পর বিসর্জন দেওয়া হয় গণেশের ৷

আরও পড়ুন: শুধু বলিউড নয়, গণেশ বন্দনায় মাতলেন দিতিপ্রিয়া-সায়নী-শ্রাবন্তীরাও

ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থীর মধ্যাহ্ন অর্থাৎ, দুপুর পর্যন্ত গণেশ পুজোর সবচেয়ে ভালো সময় ৷ অনেক সময় চতুর্থী দু’দিনে থাকলে প্রথমদিনেই পুজো করতে হয় ৷ ভারতের একাধিক রাজ্যে বর্তমানে গণেশ পুজো করা হয় ৷ মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানার পাশাপাশি বর্তমানে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত ও ছত্তিশগড়েও বড় করে গণেশ পুজো করা হচ্ছে ৷ এখানে বিশেষ উল্লেখ্য বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গেও জাঁকজমকের সঙ্গে গণেশ পুজো পালিত হচ্ছে ৷ দুর্গাপুজোর মতো বড় করে না হলেও, পাড়ার মোড়ে মোড়ে সিদ্ধিদাতার আরাধনা শুরু হয়েছে ৷

কলকাতা, 27 অগস্ট: পঞ্চাঙ্গ মতে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করা হয় ৷ হিন্দু শাস্ত্র মতে ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে (Ganesh Chaturthi) পার্বতী নন্দনের পুজোর দিন ৷ বাঙালির দুর্গোৎসবের মতোই ভারতের একাধিক রাজ্যে গণেশ পুজো উৎসব হিসাবে পালিত হয় ৷ আর এই তালিকায় সবার আগে আসে মহারাষ্ট্র ৷ যেখানে ‘গণপতি মহোৎসব’ পালন করে মারাঠিরা ৷ প্রতি ঘরে মোদক, লাড্ডু, ফুল, বেলপাতা, আতপ চাল, চন্দন ও সিঁদুর দিয়ে সিদ্ধিদাতার আরাধনা করা হয় ৷

আর এ বার আসা যাক গণেশ পুজোর নিয়ম ও রীতিতে (History and Culture of Ganesh Festival) ৷ গণেশ পুজো পুরোহিত ছাড়াও বাড়িতে করা যায় ৷ মঙ্গলঘট, লাল চেলি, সিঁদুর, আতপ চাল, ফুল, বেলপাতা, ধূপ, প্রদীপ জ্বালিয়ে গণেশের পুজো করা যায় ৷ মূলত মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে, আরতি করে গণেশ পুজো করা যায় বাড়িতেই ৷ তবে, শাস্ত্র মেনে মহাযজ্ঞের মাধ্যমে পুজো করতে হলে অবশ্যই পুরোহিত দিয়েই পুজো হয় ৷ আর প্রসাদে মূষক সওয়ারিকে তাঁর পছন্দের নানান স্বাদের মোদক, লাড্ডু ও ফল থাকতেই হবে ৷

বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা হিসাবে শিব-পার্বতীর পুত্রের আরাধনা করা হয় ৷ সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলুগু ভাষায় গণেশ চতুর্থী বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি বলে পরিচিত ৷ ‘চবথ’ বলেও গণেশ চতুর্থী পরিচিত ৷ পাশাপাশি, নেপালি ভাষায় এই উৎসবকে ‘চথা’ বলে সম্বোধন করা হয় ৷ ভাদ্র মাসের শুক্ল চতুর্থীতে সিদ্ধিদাতার আরাধনা করা হয় ৷ মূলত গণেশের জন্মতিথি হিসাবে এই দিনটিকে পালন করা হয় ভূ-ভারতে ৷ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানার মতো রাজ্যে 10 দিন ধরে গণেশ উৎসব হয় ৷ অনন্ত চতুর্দশীতে গণেশ বিসর্জন হয় ৷ যা গণেশ পুজোর সবচেয়ে বড় একটা অংশ ৷ এই দিন দেবতার বিশেষ আরতির পর বিসর্জন দেওয়া হয় গণেশের ৷

আরও পড়ুন: শুধু বলিউড নয়, গণেশ বন্দনায় মাতলেন দিতিপ্রিয়া-সায়নী-শ্রাবন্তীরাও

ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থীর মধ্যাহ্ন অর্থাৎ, দুপুর পর্যন্ত গণেশ পুজোর সবচেয়ে ভালো সময় ৷ অনেক সময় চতুর্থী দু’দিনে থাকলে প্রথমদিনেই পুজো করতে হয় ৷ ভারতের একাধিক রাজ্যে বর্তমানে গণেশ পুজো করা হয় ৷ মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানার পাশাপাশি বর্তমানে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত ও ছত্তিশগড়েও বড় করে গণেশ পুজো করা হচ্ছে ৷ এখানে বিশেষ উল্লেখ্য বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গেও জাঁকজমকের সঙ্গে গণেশ পুজো পালিত হচ্ছে ৷ দুর্গাপুজোর মতো বড় করে না হলেও, পাড়ার মোড়ে মোড়ে সিদ্ধিদাতার আরাধনা শুরু হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.