মহারাষ্ট্র, 23 জুলাই: নাগাড়ে বৃষ্টিতে বেসামাল মহারাষ্ট্র (Maharashtra Rain) ৷ 24 ঘণ্টা ধরে অঝোর ধারায় ঝড়ে চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৷ গত 40 বছরে জুলাই মাসে এটা রেকর্ড বৃষ্টি ৷ বন্যায় ভেসেছে তিনটি জেলা ৷ আরও দুটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ গোদের উপর বিষফোঁড়া রায়গড়ের ব্যাপক ধস (Raigad Landslide)৷ যার জেরে কোলাপুরের প্রায় 47টি গ্রাম সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (NDRF) ৷
কোঙ্কন এলাকায় এনডিআরএফ-এর (NDRF) বেশ কয়েকটি দল কাজ করছে ৷ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষজনকে ৷ বানভাসি রত্নাগিরি, রায়গড়, কোলাপুর ৷ জলের তলায় রত্নাগিরির উপকূল শহর চিপলুনের প্রায় 50 শতাংশ অংশ ৷ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সাংলি ও অমরাবতীতে ৷ রায়গড়ে ধসের জেরে অনেকে এখনও নিখোঁজ ৷ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "কালাই গ্রামে ধস হয়েছে ৷ কতজন ক্ষতিগ্রস্ত এখনও জানা যায়নি ৷ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে খবর পাঠানো হয়েছে ৷ গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে থাকায় সেখানে পৌঁছনো সম্ভবপর হচ্ছে না ৷"
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জের, আগামী 24 ঘণ্টায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি
বিপদসীমার কাছ দিয়ে বইছে পঞ্চগঙ্গা নদী ৷ বৃষ্টিতে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় 47টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৷ চিখলি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দিয়েছে এনডিআরএফ ৷
আরও পড়ুন: সোপোরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম 2 লস্কর জঙ্গি
পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ৷ জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ আগামী তিনদিনও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া দফতর ৷ জারি করা হয়েছে লাল ও কমলা সতর্কতা ৷ গত দু‘দিন ধরেই প্রবল বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে মুম্বই, থানে ও পালঘর ৷ মুম্বইয়ের গোবন্দি এলাকায় বহুতল ধসে পড়ে আজ 7 জনের মৃত্যু হয়েছে, জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন ৷ মুম্বই-গোয়া জাতীয় সড়ক বানভাসি হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল ৷