রোহতক (হরিয়ানা), 15 জুলাই: রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান-3 ৷ শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে ৷ এই মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চন্দ্রযান ও তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহৃত এবং নাট-বল্টুর ৷ সেগুলি ইসরোকে সরবরাহ করেছে হরিয়ানার রোহতকের একটি কোম্পানি ৷
হরিয়ানার ছোট্ট শহর রোহতক ৷ এখানে অবস্থিত এলপিডি বোসার্ড কোম্পানি চন্দ্রযান-3 মিশনে বিশেষ নাট এবং বল্টু পাঠিয়েছে ৷ কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মুকেশ সিং ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "এই মিশনের জন্য আমরা প্রায় দুই থেকে পাঁচ লক্ষ বিশেষ নাট এবং বল্টু দিয়েছি ইসরোকে ৷"
স্বভাবতই এমন একটি ঐতিহাসিক ঘটনার অংশ হিসেবে উচ্ছ্বসিত তিনি ৷ এই প্রসঙ্গে মুকেশ সিং আরও বলেন, "আমি অসম্ভব আনন্দ পেয়েছি ৷ কোম্পানির সব কর্মীরা এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন ৷ এই মিশনের জন্য আমরা উন্নত মানের নাট এবং বল্টু তৈরি করেছি ৷ আমরা ইসরোকে নিয়মিত এই নাট-বল্টু সরবরাহ করে থাকি ৷"
তিনি ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ৷ নাট-বল্টু প্রস্তুতকারক কোম্পানির আধিকারিকের আশা, চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে নিরাপদে নামতে পারবে ৷ তিনি আরও জানান, এই কোম্পানি দেশের প্রতিরক্ষা প্রজেক্টগুলির জন্যও নাট-বল্টু তৈরি করে ৷
আরও পড়ুন: চাঁদের লক্ষ্যে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-3, রইল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
চন্দ্রায়ন-3 চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করতে পারলে সেখানকার খনিজ সম্পদ সম্পর্কে জানা যাবে ৷ এর আগে 2019 সালে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় ৷ এবার চ্যালেঞ্জ 'সফট ল্যান্ডিং' ৷ অর্থাৎ কোনও রকম ঝাঁকুনি ছাড়া নিরাপদে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে চন্দ্রযান 3 ৷ আগামী 40-42 দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইসরো-সহ সারা দেশের জন্য ৷ চন্দ্রযান-3-এর সঙ্গে বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার, প্রজ্ঞা নামের রোভার রয়েছে ৷ 15-20 দিন পর এই মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথ কাটিয়ে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ৷