ওয়ারঙ্গল (তেলাঙ্গানা), 27 ফেব্রুয়ারি: বিটেক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য (B Tech Student Unnatural Death) ৷ সূত্রের দাবি, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন ৷ আরও দাবি করা হচ্ছে, ছাত্রীর কোনও এক পুরুষ বন্ধু তাঁকে নিয়মিত হেনস্থা করতেন ৷ তার জেরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি ! ছাত্রীর মৃত্যুর পিছনে সত্যিই এই ঘটনাই কারণ কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে তেলাঙ্গানার ওয়ারঙ্গলে (Warangal) ৷
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাবার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ৷ ওই আত্মীয় ওয়ারঙ্গলের বাসিন্দা হলেও মৃত ছাত্রী ও তাঁর বাবা-মা থাকেন ভূপালপল্লিতে ৷ প্রায় বছর খানেক আগে ওয়ারঙ্গলেরই নরসমপেটা এলাকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভরতি হন ওই তরুণী ৷ তারপর থেকেই নাকি ঝামেলা শুরু হয় !
আরও পড়ুন: অপহরণ করে যৌন নির্যাতন ! আশংকাজনক 2 বছরের শিশুকন্যা
তরুণীর আত্মীয় ও পরিচিতরা পুলিশকে জানিয়েছেন, কলেজে ভরতি হওয়ার আগে পর্যন্ত নিজের গ্রামের স্কুলেই পড়াশোনা করতেন তিনি ৷ দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় তখনকার কিশোরী মেয়েটি ৷ সেই সম্পর্ক অনেক দিন চলেছিল ৷ দু'জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও ছিল ৷ সেই সময়কার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি ওই কিশোর প্রেমিকের (বর্তমানে তিনিও যুবক) কাছে রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা ৷ সম্প্রতি ওই তরুণ বিটেক ছাত্রীটিকে ভয় দেখাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ ৷ তিনি তাঁদের পুরনো দিনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়ার হুমকি দেন ৷
কিছুদিন এসব হজম করার পর তরুণী তাঁর পরিবারকে সমস্ত ঘটনা জানান ৷ পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করা হয় ৷ কিন্তু, অভিযুক্ত যুবকের বয়স কম হওয়ায় পুলিশ তাঁকে কাউন্সেলিং করে ছেড়ে দেয় ৷ তবে, তারপরও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি বলে অভিযোগ ৷ উলটে ইদানীং তরুণীর উপর অভিযুক্ত তরুণের মানসিক অত্যাচার আরও বাড়তে থাকে ! এর জেরেই রবিবার রাতে ওই ছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ প্রসঙ্গত, মৃত তরুণী পড়াশোনার জন্যই ওয়ারঙ্গলে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন ৷ ওই আত্মীয় তাঁর কাকা ৷ পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷