সুরাত (গুজরাত), 6 এপ্রিল: সাড়ে তিনশো কেজি ওজনের হনুমানের মূর্তি ৷ সোনার থালার উপর বসানো ওই মূর্তি তৈরি হয়েছে 110 কেজি রুপো দিয়ে ৷ মূর্তির উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট ৷ পুরোটাই সোনার প্রলেপ দেওয়া ৷ গুজরাতের সুরাতে পবন-পুত্রের এই বিশালাকার মূর্তি দেখতে পাওয়া যাবে ৷ তবে কোনও মন্দিরে নয় ৷ এই মূর্তি রয়েছে একটি বাড়িতে ৷
সুরাতের নির্মাণ ব্যবসায়ী শীতল ভাইয়ের বাড়িতেই রয়েছে এই বিশালাকার হনুমান মূর্তি ৷ যা রোজ পুজো করেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা ৷ জানা গিয়েছে, শীতল ভাই আগাগোড়া হনুমানজির ভক্ত ৷ সেই কারণেই তিনি বাড়িতে একটি হনুমানের মূর্তি বসাতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু সেই মূর্তি যাতে অন্যদের তুলনায় একেবারে অন্যরকম হয় সেই রকম ভেবেই এগিয়েছিলেন ৷
তার পর ইন্টারনেটে খুঁজতে শুরু করেন ৷ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হনুমান মূর্তি তিনি ইন্টারনেটে পর্যবেক্ষণ করেন ৷ শেষে তাঁর নজর পড়ে হনুমানজির রুদ্ররূপের উপর ৷ তার পর তিনি এমনই একটি মূর্তি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ৷ কথিত আছে, শিবের রুদ্ররূপের প্রতিরূপ এই মূর্তি ৷ প্রায় ছ’মাস ভাবনাচিন্তা করার পর রুপো দিয়ে এই মূর্তির তৈরির সিদ্ধান্ত নেন শীতল ভাই ৷
সেই মতো রাজস্থানের উদয়পুর থেকে শিল্পীদের আনা হয় ৷ তাঁরা কাঠের একটি পাটাতনের উপর 24 ক্যারেট সোনার থালা বসিয়ে তার উপর এই মূর্তিটি স্থাপন করেছেন ৷ প্রায় ছ’মাস সময় লেগেছিল এই মূর্তি তৈরি করতে ৷ তবে কত বছর আগে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি ৷ তবে শীতল ভাইয়ের ছেলে জানিয়েছেন, এই মূর্তির সামনে নিত্যপুজো করেন পরিবারের সদস্যরাই ৷ কিন্তু যেকোনও সময় চাইলেই অন্য ভক্তরাও আসতে পারেন মন্দিরে ৷ পুজোও দিতে পারেন ৷
জানা গিয়েছে, হনুমান জয়ন্তীতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় ৷ সেই সময় পরিবারের সদস্য, আত্মীয় পরিজনরা থাকেনই ৷ পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা, অন্য ভক্তরাও হাজির হন ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷
আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে লেকটাউনের মন্দিরে পুজো রাজ্যপালের